খাসোগি হত্যা: ৭৬ সৌদি নাগরিকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৪১ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৩৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার ঘটনায় ৭৬ সৌদি আরবের নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে খাসোগিকে হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিস্বরূপ এই ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

খাসোগি হত্যা নিয়ে শুক্রবার পূর্ণাঙ্গ গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স। প্রতিবেদনে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে খাসোগি হত্যায় নির্দেশনা দিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় সৌদি যুবরাজকে রাখা হয়নি। খবর আল জাজিরার।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোনো অপরাধীদের প্রবেশে অনুমতি দেয়া উচিত নয়।

২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সৌদির ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগি। তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে কলাম লিখতেন।

মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে আমরা এই মূল্যায়নে পৌঁছেছি যে, জামাল খাসোগিকে আটক বা হত্যা করতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অভিযান চালানোর অনুমোদন দেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযানে সৌদি যুবরাজের যে অনুমোদন ছিল তা তিনটি কারণে বিশ্বাস করা যায়। প্রথমত, ২০১৭ সাল থেকে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ; দ্বিতীয়ত, খাসোগি হত্যায় তার একজন উপদেষ্টার সরাসরি জড়িত থাকা এবং তৃতীয়ত, বাইরের দেশে অবস্থানরত ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনে সহিংস পদক্ষেপ গ্রহণে তার সমর্থন।

মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সৌদির নেতৃত্ব সম্পর্কিত প্রতিবেদনে এই মূল্যায়ন নেতিবাচক, মিথ্যা ও অগ্রহণযোগ্য।

প্রতিবেদনে ভুল তথ্য ও সিদ্ধান্ত রয়েছে বলেও সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদন প্রকাশের আগের দিন বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফোনালাপে সৌদির বাদশাহর কাছে মানবাধিকার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাইডেন।

ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/একে