ইয়াসির-সাইফের ব্যাটে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের বড় লিড
আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ইয়াসির রাব্বি এবং সাইফ হাসানদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৩১৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। এর আগে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল ১৫১ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে বাংলাদেশের লিড পেয়েছে ১৬২ রান।
চট্টগ্রামে শেষ বিকালের খেলায় ১ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান তুলে প্রথমদিন শেষ করে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়দিনের খেলায় শনিবারে ব্যাট করতে আসেন আগেরদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান এবং মাহমুদুল হাসান জয়।
ব্যাট হাতে এ দুজন ব্যাটসম্যান শুরুটা ভালোই করেন। দুজন মিলে গড়েন ৮৩ রানের জুটি। গ্রাহাম হোমের বলে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে লরকান টকারের হাতে ক্যাচ দিতে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাইফ। আর ৩৯ বলে ৪১ রান তুলে আইরিশ অধিনায়ক আউট করেন মাহমুদুল জয়কে।
চতুর্থ উইকেট পার্টনারশিপে ইয়াসির রাব্বি এবং তৌহিদ হৃদয় মিলে দলীয় স্কোরটা বড় করতে থাকে। দুজনে ১১২ রানের জুটি গড়েন। ৭৪ বলে ৩৬ রান করে গার্থের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়। আর ইয়াসির রাব্বি নিজের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে থেমে যান। তার ৯২ রানের ইনিংসটি ৫টি ছয় এবং ৮টি চারে সাজানো।
২৬৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের ইনিংসে খুব বেশি রান যোগ করতে পারেননি পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা। পরের দুই উইকেটে সাহাদাৎ হোসেন ২০ রানে এবং ১৯ রানে আউট হন আকবর আলি।
শেষ চারজন ব্যাটসম্যান মিলে বাংলাদেশের দলীয় স্কোরে যোগ করতে পেরেছেন মাত্র ১৬ রান। ৭ বলে কোনো রান করতে পারেননি রিশাদ হোসেন। এছাড়া ৮ রানে তানভীর হাসান এবং ৪ রানে আউট হন এবাদত গোসেন। আর ০ রানে অপরাজিত থাকেন খালেদ আহমেদ।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন মার্ক আদায়ের এবং গ্রাহাম হোমে। জোনাথন গার্থ নিয়েছেন ২টি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পান হ্যারি হেক্টর ও গ্যারেথ ডেলানি।
(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এমএম)