মুজাক্কির হত্যা: আট দিনেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে আসামিরা

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৩৬ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৩৭

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার আট দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে আসামিরা। তবে হত্যার কিছু আলামত জব্দ করেছে পুলিশ। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানান কর্মসূচি।

শনিবার বিকালে নিহত মুজাক্কিরের ভাই নূর উদ্দিন জানান, মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় আমার বাবা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছিলেন। আমরা যেহেতু ওই দিন ঘটনাস্থলে ছিলাম না, তাই আমরা কাউকে না দেখার কারণে মামলায় অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। ওইদিন রাতে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। আমরা পিবিআই টিমের কাছে আশাবাদী তারা দ্রুত মুজাক্কির হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করবেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা মামলটি গভীরভাবে তদন্ত করছি। ঘটনাস্থলসহ প্রতিটি বিষয় আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ বিষয় নিয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

এদিকে সহকর্মী মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে আগামী পহেলা মার্চ সোমবার সকাল ১০টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল ও তিন দিনের জন্য কালো ব্যাচ ধারণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ ৭-৮জন। পরে আশঙ্কজনক অবস্থায় মুজাক্কিরকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত শনিবার রাত ১০টা ৪৫মিনিটে তার মৃত্যু হয়। মুজাক্কির অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারের নোয়াখালী প্রতিনিধি ছিলেন। সংঘর্ষ, গুলির ঘটনা পুলিশ বাদী হয়ে দুটি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এর মধ্যে পুলিশের মামলা দুটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় তার বাবার দায়ের করা মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। বাদলের করা মামলাটি পুলিশ তদন্ত করছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এলএ)