বেগমগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তি

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:২৯

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নে মাদ্রাসাছাত্রীকে(১৭) একাধিকবার দলবদ্ধ ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও অপহরণের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি সাইফুল ইসলাম ইমনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একইসঙ্গে আরেক আসামি ফয়সাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার বিকালে গ্রেপ্তারদের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার দুজনকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে হাজির করলে ফয়সাল নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আরেক আসামি ইমনকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় তিনদিন ও পর্ণোগ্রাফি মামলায় দুদিনসহ মোট পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন জানান, পৃথক দুটি মামলায় সাইফুল ইসলাম ইমনকে পাঁচ দিন করে ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করলে আদালত দুটি মামলায় তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলায় অন্য দুই পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ রাতে মামলার আসামি ফয়সাল ও জোবায়ের ঘরে ডুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করে। যাওয়ার সময় তারা ছাত্রীর আলমেরি থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণের চেইন ও দুইটি আংটি নিয়ে যায়।

২০২০ সালের ৫ মার্চ রাত আড়াইটার দিকে ইমন ও রাসেল ঘরে ডুকে নির্যাতিতাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার তিন মাস পর রাসেলকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ঢাকার মিরপুর-২, ৭ নম্বর রোডের ৩ নম্বর গলির জান্নাত নামের এক নারীর কাছ থেকে মেয়েকে নিয়ে আসেন ছাত্রীর মা। ওই তিন মাসে অপহৃতাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন রাসেল।

এরপর বিভিন্ন সময় ইমন বাড়িতে এসে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওইছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সবশেষ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে আবারও অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত সে নিখোঁজ রয়েছে। মেয়েকে ফেরত পেতে হলে আসামিরা তার মাকে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে প্রস্তাব দেয়।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/কেএম)