পতেঙ্গা সাগর পাড়ের মানুষেরা পাবে সুপেয় পানি

চট্টগ্রাম নগরের সবচেয়ে দক্ষিণের এলাকা পতেঙ্গা। এই এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে ইপিজেড, বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। অথচ সাগর পাড়ের এই এলাকাটিতে বড়ই অভাব সুপেয় পানির। পতেঙ্গাজুড়ে এবার সুপেয় পানির সংকট কেটে যাবে বলে জানালো চট্টগ্রাম ওয়াসা। ‘পতেঙ্গা বুস্টিং পাম্প স্টেশন’ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মদুনাঘাট শেখ রাসেল পানি সরবরাহ প্রকল্পে উৎপাদিত দৈনিক নয় কোটি লিটার পানি থেকে সাড়ে চার কোটি লিটার পানি পাবে ইপিজেড-বন্দর-পতেঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম রেডিসন ব্লু বে ভিউয়ের মেজবান হলে চট্টগ্রামে ওয়াসার ‘পতেঙ্গা বুষ্টিং পাম্প স্টেশনের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল্লাহ।

চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যান ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন আহাম্মদ এমপি, নজরুল ইসলাম এমপি, আবু রেজা মোহাম্মদ নদভী এমপি, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা-ইপিজেড ও বন্দর এলাকার গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের গর্বের জায়গা। কিন্তু এলোমেলোভাবে বন্দরের জায়গা লিজ দিয়ে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে নদীর পাশে কারখানা গড়ে উঠছে।’

এ ধরনের কাজকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে।’

এর আগে ২০১৮ সালের চট্টগ্রাম ওয়াসার মদুনাঘাট পানি সরবরাহ প্রকল্পের কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার পাইপ লাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নগরীর বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প, ওয়াসার ‘ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন’ প্রকল্পের আওতায় 'ডব্লিও-৫' নামে এই প্যাকেজটি স্থানীয় সরকার, বিশ্বব্যাংক এবং ওয়াসার নিজস্ব অর্থায়নে করা হচ্ছে।

জানা যায়, নির্বিঘ্নে পানি সরবরাহের জন্য কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন পাইপ লাইন এবং ১৫ কিলোমিটার ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইন নির্মাণ করতে হয়েছে।

এদিকে ‘পতেঙ্গা বুষ্টিং পাম্প স্টেশন’ উদ্বোধনের আগে মন্ত্রী ও সিনিয়র সচিব সকাল ১০টায় রাঙ্গুনিয়াস্থ শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার ইউনিট-২ পরিদর্শন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ওয়াসা প্রকল্পের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল্লাহ। তিনি জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসার বাস্তবায়নাধীন চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় পতেঙ্গা বুষ্টিং পাম্প স্টেশনটি নির্মিত হয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে চট্টগ্রাম নগরীর বিপুল জনগোষ্ঠী।

(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/কেএম)