নায়ক থেকে হঠাৎ ভিলেন আমির, জয় কালান্দার্সের
নিজের করা প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে রীতিমতো নায়ক বনে গিয়েছিলেন দলীয় পেসার মোহাম্মদ আমির। কিন্তু নিজের শেষ ওভারে ২০ রান দিয়ে খানিক পরেই ভিলেন হয়ে গেলেন তিনি। আর তাতেই টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটিতে করাচি কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স।
পাকিস্তান সুপার লিগে(পিএসএল) কালান্দার্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি করাচির কিংসের। টপঅর্ডার তিন ব্যাটসম্যান যথাক্রমে বাবর আজম, জো ক্লার্ক এবং কলিন ইনগ্রাম মিলে দলীয় খাতায় যুক্ত করতে পেরেছে মাত্র ৯ রান। ৫ বলে ৫ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে বোল্ড হন বাবর আজম। ৬ বলে ৪ রান করে রান আউট হন ক্লার্ক। আর কলিন ইনগ্রামকে রানের খাতায় খুলতে দেননি আহমেদ ড্যানিয়াল।
তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন ওপেনার শারজিল খান এবং মোহাম্মদ নবি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে ৭৬ রানে জুটি গড়লে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোতে থাকে করাচি। ৩৯ বলে ৬৪ রানে ওপেনার শারজিল এবং ৩৫ বলে ৫৮ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন নবি।
কালান্দার্সের হয়ে ৩টি উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন তিনজন বোলার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমেই চাপে পড়ে লাহোর কালান্দার্স। কোনো রান না করেই ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন অধিনায়ক ও ওপেনার সোহেল আখতার। পরের উইকেটে ব্যাট করতে নামা জো ডেনলিও শূন্যরানেই সাজঘরে ফেরেন। আর মোহাম্মদ হাফিজকে ফেরান ওয়াকাস মাকসুদ। ১৫ রান তুলেন হাফিজ।
মাত্র ৩৩ রানে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপের মধ্যেই পড়ে দলটি। তবে কালান্দার্সের জন্য ত্রাতা হয়ে আসে চতুর্থ উইকেট জুটি। এ সময় ওপেনার ফখর জামান এবং বেন ডাঙ্ক মিলে মাত্র ৭৮ বলে ১১৯ রান করলে জয়ের বন্দরে প্রায় পৌঁছেই যায়। আর শেষ কাজটা সারেন ডেভিড ওয়াইস।
৫৪ বলে ৮৩ রান তুলে আউট হন ফখর। এছাড়া ডাঙ্ক ৪৩ বলে ৫৭ রানে এবং ওয়াইস মাত্র ৯ বলে ৩১ রান তুলে অপরাজিত থাকেন।
(ঢাকাটাইমস/১মার্চ/এমএম)