অধর্মের ধর্মকর্মে ধর্মের ক্ষতি

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২১, ২০:০৮ | আপডেট: ০১ মার্চ ২০২১, ২২:৫০

এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, পিপিএম

সনাতন কিংবা আসমানি কোনো ধর্মই অধর্মকে সমর্থন করে না। তাই ধর্মগ্রন্থকে আমরা সবাই পবিত্র গ্রন্থ হিসেবে জানি এবং মানি। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর কৃষ্টি-কালচারে বিভিন্নভাবে ধর্মযাত্রা অনুপ্রবেশ করে পর্যায়ক্রমে অভিযোজিত হয়েছে। একই ধর্ম বিভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশের যাত্রায় ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় উপস্থাপিত হয়েছে। যখন যে দেশে, যে সময়, যে অঞ্চলে ধর্মের অনুপ্রবেশ ঘটতে শুরু করেছে,ওই সময়ে ওই দেশে চলমান সংস্কৃতি, সামাজিক বাস্তবতা ও মানুষের শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-গরিমার বাস্তব অবস্থান ধর্মকে গ্রহণের ক্ষেত্রে কতটুকু সহায়ক ছিল তার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। সে কারণে যে জাতি লেখাপড়ায় পিছিয়ে ছিল অর্থাৎ অসভ্য-বর্বরদের মধ্যে ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যত বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে এমনকি রক্তপাতের অবতারণা করতে হয়েছে, সে তুলনায় অপেক্ষাকৃত সভ্য, আচরণগতভাবে বিনয়ী জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মের যাত্রা শুরুতে কিছুটা অসুবিধা দেখা দিলেও এতটা প্রকট ছিল না।

আবার যেসব অতিমানবের হাত ধরে এটি চর্চিত হয়ে মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে হয়েছে, সেসবমহামানবের ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনা, জ্ঞান-গরিমা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কৌশল, উদ্দেশ্য-মিশন-ভিশন, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গৃহীত নীতিমালা এবং পূর্বাপর পরণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে গভীর অন্তর্ধ্যান কাজে লেগেছে। তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করার মতো নানা বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সেসময়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে।

ইতিহাসের দিকে আমরা নজর দিলে দেখতে পাই, খোদ আরবে ইসলাম ধর্মের অভিযাত্রায় মহাজ্ঞানী আমাদের রাসুল ও প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ধর্ম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রকট বাধার সম্মুখীন হয়েছেন এবং কোনোকোনো ক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে হয়েছে।এর পেছনে শত শত কারণ থাকলেও অন্যতম প্রধান কারণ ছিল সেসময়ের আরব রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ ছিলেন অশিক্ষিত, বর্বর, অসভ্য। আবার একই ধর্ম আমাদের অঞ্চলে প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্যরকম ভিন্নতা কাজ করেছে। সাধক ও সুফিশ্রেণির মানুষ বিভিন্ন দেশ থেকে এসে যে যে অঞ্চলে অবস্থান নিয়েছেন, সে অঞ্চলের মানুষের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, সামাজিক রীতিনীতি, ক্ষুধা-দারিদ্র্য নানা বিষয় বিবেচনায় নিয়ে চলমান সংস্কৃতির মধ্যে ধর্মকে শান্তিপূর্ণভাবে অভিযোজিত করে ধীরে ধীরে মানুষের অন্তরে গ্রথিত করার দারুণ প্রয়াস চালিয়েছেন। ফলে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবতারণা করার প্রয়োজন পড়েনি।

মাজারকেন্দ্রিক আচার-আচরণকে এখনো অনেক মানুষ পছন্দ করেন না। সেটি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক না করে একথা বলা যায়,এসব মানুষ ধর্মজ্ঞানে আধ্যাত্ম সাধন করে তাদের ধর্মীয় জ্ঞানের আলো মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন আন্তরিকভাবে। বলে রাখা দরকার, অধর্মজ্ঞানে অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যারা ভন্ডামি করেছেন, তারা আমার এই আলোচনার অংশ নয়। কেননা আমি বিশ্বাস করি অধর্মের ধর্ম-কর্ম ধর্মের অন্তরায়। এসবশ্রেণির মানুষ দ্বারা ধর্ম কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা গবেষণা করেও উপসংহার টানা খুব মুশকিল।

প্রখ্যাত সংস্কৃতিতাত্ত্বিক মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার ‘সংস্কৃতি-কথা’ প্রবন্ধে বলেন,‘ধর্ম সাধারণ লোকের কালচার, আর কালচার শিক্ষিত, মার্জিত লোকের ধর্ম।...সাহিত্য, শিল্প, সংগীত কালচারের উদ্দেশ্য নয়-উপায়।  উদ্দেশ্য, নিজের ভেতরে একটা ঈশ্বর বা আল্লাহ সৃষ্টি করা। যে তা করতে পেরেছে সে-ই কালচার্ড অভিধা পেতে পারে, অপরে নয়। বাইরের ধর্মকে যারা গ্রহণ করে তারা আল্লাহকে জীবন প্রেরণারূপে পায় না, ঠোঁটের বুলিরূপে পায়।... আল্লাহকে  সে স্মরণ করে ইহলোকে মজাসে জীবনযাপন করার জন্য আর পরকালে দোজখের আজাব থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে অথবা স্বর্গে একটা প্রথম শ্রেণির সিট রিজার্ভ করার আগ্রহে- অন্য কোনো মহৎ উদ্দেশ্যে নয়। ইহকালে ও পরকালে সর্বত্রই একটা ইতর লোভ।'

তাঁর ‘সংস্কৃতি-কথা’ লেখায় শ'র একটি উক্তি উল্লেখ করেছেন: Beware of the man whos God is in the skies- আল্লাহ যার আকাশে তার সম্বন্ধে সাবধান। কেননা, তার দ্বারা যেকোনো অন্যায় ও নিষ্ঠুর কাজ হতে পারে।... অপরদিকে কালচার্ড লোকেরা সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে অন্যায় আর নিষ্ঠুরতাকে; অন্যায় নিষ্ঠুরতাকে তো বটেই, ন্যায় নিষ্ঠুরতাকেও(সংস্কৃতি-কথা, মোতাহের হোসেন চৌধুরী)। কেননা মূল ধর্মের সার্বিক ক্ষতির খলনায়ক তারাই যারা ধর্মকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন এবং তখনই সেটা অধর্মের রূপ নিয়েছে। তাতে ব্যক্তির লাভ হলেও ধর্মের কোনো লাভ হয়নি বরং ধর্ম সেখানে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে, অন্যায়ভাবে অন্যের কাছে ধর্ম সমালোচনার বিষয়বস্তু হয়েছে।

ধর্মকে ব্যবহার করে কিংবা ধর্মকে সামনে রেখে ক্ষমতা, জোরজবরদস্তি, রাষ্ট্রদখল কিংবা অন্যের হক মেরে ধর্মকে কারণ হিসেবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করার হীন প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে যেক্ষেত্রে, ঠিক সেখানেই তখন ধর্ম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিন্নমতাবলম্বী মানুষের সংস্কৃতিকে আঘাত করে, জোর জবরদখল করে, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিয়ে তাদের বাধ্য করে ধর্মান্তরিত করার প্রয়াস এবং ক্ষেত্রবিশেষ পরাজিত দেশের মানুষকে যা ইচ্ছে তাই কাজে ব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করাকে যেভাবেই আখ্যায়িত করা যাক না কেন, এমন আচরণে ধর্মের উন্নতি হয়েছে তা বলাটা সমীচীন নয়। বরং অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতনের মাধ্যমে যেসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের আর্তচিৎকার ওই ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, এমনকি তাতে ধর্মই অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিদায় হজের ভাষণে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন- ‘যার যার ধর্ম তাকে পালন করতে দাও, জোর করে কাউকে ধর্ম চাপিয়ে দিও না, অনুপ্রাণিত হয়ে স্বেচ্ছায় কেউ যদি তোমার ধর্মে আসতে চায় তাকে গ্রহণ করো।’ ধর্মকে অধর্মের হাত থেকে রক্ষা করার মানসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেন বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নের, সংগ্রামের, সাধনার, গণতান্ত্রিক, জাতীয়তাবাদী এবং সমাজতান্ত্রিক সাম্যমূলক অর্থনৈতিক আদর্শভিত্তিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ। পাকিস্তানি বন্দিশিবির থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণে বলেন: 'আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে। আর তার ভিত্তি বিশেষ কোনো ধর্মীয়ভিত্তিক হবে না। ভিত্তি হবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এ দেশের কৃষক-শ্রমিক, হিন্দু-মুসলমান সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে।'

সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন বা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা নিষিদ্ধ করা হয়। তাতে স্পষ্ট বলা হয়: 'ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি বাস্তবায়নের জন্য সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদাদান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের ব্যবহার এবং কোনো বিশেষ ধর্মাবলম্বীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ করা হলো।' বিশিষ্ট লোকবিজ্ঞানী অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান তার নির্বাচিত প্রবন্ধে এক আলোচনায় বলেন- এমন এক রাষ্ট্র গঠন ও সংবিধান রচনা বাঙালির ঐতিহাসিক বোধ, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার পরিচায়ক। বাঙালি জাতির এর চেয়ে বড় সাফল্য, বড় অর্জন ইতিহাসে আর নেই।... কিন্তু বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস এবং মধ্যযুগের ভারতবর্ষে মুসলিম শাসকদের রাষ্ট্র ও ধর্মনীতির সঙ্গে পরিচয়হীনতার কারণে অথবা রাজনৈতিকবোধের পশ্চাৎপদতার জন্য স্বৈরশাসক জিয়া-এরশাদ এবং পাকিস্তানের গোপন দোসর মোশতাক ও তাদের সাঙ্গোপাঙ্গরা মিলে বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নের জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের মূল স্রষ্টা শেখ মুজিবকেই শুধু হত্যা করেনি, রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিবর্তন করে একে একটি পাকিস্তানি ধাঁচের  ধর্মপ্রবণ পশ্চাৎপদ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।'

উপরোক্ত বক্তব্য বিশ্লেষণে এটি খুব স্পষ্ট করেই বলা যায়, বঙ্গবন্ধুর চিন্তায় ধর্মের সুন্দরতম প্রকাশ ছিল, যেখানে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে সব ধর্মের মানুষ যার যার মতো করে ধর্ম পালন করবে, ধনী-গরিব, শ্রমিক-মজুর, হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই সুখে থাকবে। অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের বক্তব্যে একথা স্পষ্ট যে ধর্মের সুন্দরতম চর্চা পরিহার করে স্বৈরাচার ওমোশতাকরা ধর্মকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। অধর্মের ব্যবহারকে উৎসাহিত করেছে।
আগেকার দিনে আমরা বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে আরবি শিক্ষার কাজে যে মানুষগুলোকে পাঠদান করতে দেখেছি, তাদের বেশিরভাগই ছিলেনঅর্ধশিক্ষিত। ফলে অক্ষরজ্ঞান আর রিডিং পড়া শেখানোর বাইরে ধর্মের মর্মবাণী, মূল্যবোধ, স্রষ্টাজ্ঞানের অসীমতা, দর্শন ইত্যাদির কোনো কিছুই শিক্ষার্থীর মনস্তত্ত্বে গ্রথিত করতে পারেননি। আবার যা কিছু অতিরিক্ত শেখাবার চেষ্টা করেছেন তার বেশিরভাগই ভুল কিংবা অধর্মে ভরা। ফলে স্রষ্টার প্রেম-ভালোবাসা কিংবা পরকালের পুরস্কার লাভের জন্য ধর্ম সম্পর্কীয় যে-জ্ঞান যেভাবে অর্জন করা অনিবার্য ছিল, শুরুতেই তা থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। ফলে এখনো পর্যন্ত ধর্মচর্চায় আমরা যে ভাষা ব্যবহার করে থাকি তার অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতে না পারায় শুধুই পাঠ করে চলি। ধর্মীয় আচার পালনে ব্যত্যয় না ঘটলেও এক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ অন্তরাত্মা দিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রেমে সফলভাবে নিজেকে নিবেদিত করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মাতৃভাষায় ধর্মচর্চা করার ধর্মীয় সংস্কৃতি শুরু থেকে গড়ে উঠলে হৃদয়ঙ্গম করা যেমন সহজ হতো, তেমনি ধর্মচর্চায় অশিক্ষিত মানুষের মনগড়া ভুলেভরা চিন্তা-চেতনা থেকে মানুষ রক্ষা পেত।

আমাদের দেশে ধর্মচর্চার হালনাগাদ চিত্র অনুধাবন করলে যতটুকু পরিতৃপ্তি অনুভব করি, বিপরীতে ধর্মকে সামনে রেখে অধর্মের দৃষ্টান্ত আমাদের অনেক বেশি মর্মাহত করে। ধর্মচর্চার নামে কিছু কিছু মানুষকে দেখা যায় দেশজ নিজস্ব সংস্কৃতিকে ন্যক্কারজনকভাবে আঘাত করতে, সেই সাথে তাদের মতের বাইরে ভিন্নমতের কাউকে সম্মান দেখানো তো দূরের কথা, রীতিমতো ধর্মের শত্রু হিসেবে তাকে চিহ্নিত করে ক্ষেত্রবিশেষ তাঁর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হুমায়ুন আজাদ থেকে শুরু করে অনেক প্রগতিশীল লেখকের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে এমনটাই চোখে পড়ে।

আরেকটি বিষয় ধর্মের সৌন্দর্যকে অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছে ইতোমধ্যে, তা হলো আমরা প্রায়ই দেখে থাকি সরকারি জায়গায় সরকারের অনুমতি ছাড়া কিংবা একে-অপরের ব্যক্তিগত দ্বান্দ্বিক সম্পর্কের সুবিধা নিয়ে প্রকৃত হকদারকে বঞ্চিত করে যেনতেনভাবে সেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। মনে রাখা দরকার, জেনেশুনে অন্যায়ভাবে অন্যের হক বঞ্চিত করে উপাসনালয় তৈরি করা ধর্ম দ্বারা সমর্থিত নয়। ধর্মের নামে অধর্ম নিজের জন্য যেমন ক্ষতিকর হচ্ছে, একইভাবে ধর্মের সৌন্দর্য, দর্শন, মাহাত্ম্যক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জেনে রাখা দরকার, অধর্মের ধর্ম-কর্ম ধর্মের অন্তরায়।

লেখক: পুলিশ সুপার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।