রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর তাগিদ মেয়র তাপসের

সরকারের দেয়া প্রকল্পের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রাজস্ব আয় বাড়াতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাগিদ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এজন্য হোল্ডিং ট্যাক্স ও কর দেয়ার যোগ্য ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব সম্মেলনে এ নির্দেশনা দেন তিনি। সম্মেলনে রাজস্ব বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

তাপস বলেন, ‘আমরা পূর্বে অনেক কিছুই পারিনি। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেই আমরা ছিলাম। কারণ আমরা রাজস্ব আহরণ করতে পারিনি। আমাদেরকে সরকারের মুখাপেক্ষী হতে হয়েছে। আমাদেরকে প্রকল্প নির্ভর চলতে হয়েছে। আমরা প্রকল্প জমা দেই, তারপর সরকার আমাদেরকে অর্থ দেয়। এরপর অর্থ ছাড় হয়। তারপর আমরা কাজ করি। এই প্রকল্প নির্ভরতা আমাদের কমাতে হবে। নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে, স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। এজন্য আমাদেরকে অবশ্যই রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করতে হবে।‘

করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় ব্যবসা করছে অথচ করের আওতায় আসেনি, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। তাদেরকে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসতে হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আপনারা উপলব্ধি করেছেন যে, আমাদের ট্রেড লাইসেন্স এর সংখ্যা মাত্র দুই লাখ ১৮ হাজার। এটা পর্যাপ্ত নয়, অপ্রতুল। এর বাইরে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ আমাদের শহরে ব্যবসা করছে কিন্তু আমাদের করের আওতায় আসেনি। সুতারাং তাদেরকে করের আওতায় আনতে হবে। তেমনি পৌর করের (হোল্ডিং ট্যাক্স) সংখ্যা মাত্র এক লাখ ৮৩ হাজার। এই সংখ্যাটা অনেক পূর্বের মনে হচ্ছে। এ সংখ্যাটা অনেক বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং হোল্ডিং ট্যাক্সের জন্য সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা এবং ট্রেড লাইসেন্সের জন্য ২০০ কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা আমরা দিয়েছি, সেটি আদায়যোগ্য। আমরা সবাই মিলে ঐকবদ্ধ হয়ে সুষ্ঠুভাবে যদি কাজ করি তবে সেটি শতভাগ আদায় করা সম্ভব।‘

ডিএসসিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমি দুষ্টের দমন, শিষ্টের লালনে বিশ্বাস করি। যে ভালো করবে, যে সংস্থাকে আপন মনে করে কাজ করবে, তাকে অবশ্যই পুরস্কৃত করা হবে। তাকে প্রণোদনা দেয়া হবে। কিন্তু যে অন্যায় করবে, মানুষকে হয়রানি করবে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে- সেটা আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন।‘

করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় আজকের এই রাজস্ব সম্মেলনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী ও সচিব আকরামুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, ডিএসসিসির কট কর্মকর্তা, উপ-কর কর্মকর্তা, রেভিনিউ সুপারভাইজার, লাইসেন্স সুপারভাইজার, বাজার সুপারভাইজার ও রেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্টবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০২মার্চ/কারই/ইএস)