চাঁদপুরে পৃথক হামলায় নারীসহ আহত ৮

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২১, ১৯:৪২

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চাঁদপুরে পৃথক হামলার ঘটনায় নারীসহ আহত হয়েছেন আটজন । মঙ্গলবার বিকালে এসব ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের কালু বেপারীর বসতঘরে সংঘবদ্ধ দূর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে ঘরের আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র।

আহতরা হলেন বেপারী বাড়ির কালু বেপারী, তার স্ত্রী ও মেয়ে। তারা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

স্থানীয়রা জানায়, হামলাকারীরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা মতু গাজীর ছেলে জাকির সেন গাজী ও বহিরাগত প্রায় ১৮ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে একই এলাকার কালু বেপারীর বসতঘরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে বসতঘরের টিনের বেড়া, দরজা, জানালা, আসবাবপত্র, ফ্রিজ ও মূলবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। হামলার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিরোধে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এদিকে হামলায় গুরুতর আহত কালু, তার স্ত্রী শাহীনা ও মেয়ে স্কুল ছাত্রী খাদিজা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘হামলার তাণ্ডবে আমরা সর্বস্ব হারিয়েছি।’

আহত শাহীনা বেগম বলেন, ‘আমার প্রবাসী ছেলে হাকিম কিছু দিন আগে জমি কেনার জন্য তিন লাখ টাকা পাঠায়। সে টাকাসহ আমার স্কুল শিক্ষার্থী মেয়ের গলায় চেইনও ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।’

কালু বেপারী আরও জানান, সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তারা বলে, এ ঘটনার বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে অথবা বিচার প্রার্থী হয়ে কাউকে জানালে, সবকটাকে জ্যান্ত মেরে ফেলব।

অন্যদিকে, চাঁদপুর শহরে কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুর রহমান, মাসুদ, হোসেন, আলিফ ও রিফাত নামে পাঁচ কিশোরকে বেদম মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে শহরের আল-আমিন স্কুলের পেছনে এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলাকারী কিশোর গ্যাং সদস্যরা শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় শহরের মমিন পাড়ার বাসিন্দা ও আহত আব্দুর রহমানের মা জাহানারা বেগম মুরছালিন, রাব্বি, মাসুদ, সৈকত, আশিকুর রহমান, আশিক, পারভেজ, কৌশিক, জাহিদসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়, গত দুই বছর আগে মুরছালিনের সঙ্গে আহত আব্দুর রহমানের সিনিয়র জুনিয়র সংক্রান্ত একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। ওইসময় এলাকার গণ্যমান্যরা ঘটনাটি সমাধান করে দেন। পরবর্তীতে বিবাদীরা প্রায় সময়েই আব্দুর রহমানকে গালমন্দ করত। ঘটনার দিন আব্দুর রহমানসহ তার বন্ধুরা প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশে বিবাদী আব্দুর রহমান ও তার বন্ধুদের আল-আমিন স্কুলের পেছনে নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আহতদের চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে এনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

(ঢাকাটাইমস/২মার্চ/পিএল)