দুই হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে ভাসানচরের পথে ৬ জাহাজ

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২১, ১১:৩২ | আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২১, ১৩:২৮

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

দুই হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ। বুধবার সকালে তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজগুলো।

পঞ্চম ধাপে ভাসানচরে যেতে মঙ্গলবার স্বেচ্ছায় উখিয়া কলেজ মাঠে ট্রানজিট পয়েন্টে জড়ো হন রোহিঙ্গারা। পরে তাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। এর আগে চার দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে আবাসন নিশ্চিত করেছে ৯ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গা।

কক্সবাজারের আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দফায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৯ হাজার ৫শ' ৪০ জন রোহিঙ্গা। প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর হয়।

১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন ২ হাজার ১৪ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করে। আজ (২ মার্চ) ও আগামীকাল আরও তিন সহস্রাধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকাদের মাঝ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনায় কাজ করছে সরকার।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান নিয়েছিলো। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ।

(ঢাকাটাইমস/৩মার্চ/কেআর)