বহু সমস্যার সমাধান ইসবগুলের ভুসি

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২১, ১১:১৫ | আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২১, ২০:০৪

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

আমরা কমবেশি সবাই ইসবগুলের সঙ্গে পরিচিত। ঘুমানোর পূর্বে অনেকে ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন। পেট ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি অনেক সমস্যার সমাধানে ইসবগুল হতে পারে উত্তম ওষুধ।

ইসবগুল এক ধরনের রেচক বা ল্যাক্সোটিভ। এক টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে ক্যালরি ৫৩%, ফ্যাট০%, সোডিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট (শর্করা) ১৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৯ মিলিগ্রাম।

বিভিন্ন গবেষণা প্রমাণ করে যে, ইসবগুল মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের এমনকি হৃৎপিণ্ড এবং অগ্নাশয় সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সঠিক সময় সঠিকভাবে এটি খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

এছাড়াও যেসব সমস্যায় কার্যকরী ইসবগুল:

# পেট ব্যথা দূরীকরণে ইসবগুলের ভূমিকা অনন্য। এর মিউসিলেজিনাস এর কারণে আলসারজনিত পেট ব্যথা কম অনুভূত হয়।

# ইসবগুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে দুই বা তিন চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মেলে।

# আশসমৃদ্ধ খাবার ইসবগুল। আমাশয় কিংবা অর্শ রোগ দূর করতে ইসবগুল দই এর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।

# হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইসবগুল বিশেষ উপকারী।

# কোলেস্টেরল ও উচ্চ-রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং ওজন কমাতে ইসবগুল দারুণ পথ্য।

# ইসবগুলের ভুসিতে আছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান। যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাক্সগার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে। এতে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। এর ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস।

# এই ভুসিতে ফাইবার উপস্থিতি থাকায় হজম প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হয়। এতে ক্ষুধা কম লাগে এবং ওজন কমে।

ঢাকাটাইমস/০৪মার্চ/আরএ/একে