কোভিড শেষে খোকার সাধ
কোভিড শেষে আবার যাবো পদ্ম-দিঘির ঘাটের পাড়,
দেখবো বসে হাঁসের খেলা জলোকেলি ডুব সাঁতার।
দেখবো খেলা লুকোচুরি পদ্মপাতার পাশ ঘেঁষে-
জলতরঙ্গে রোদের ঝিলিক ঝিকিমিকি যায় হেসে।
সদ্যফোটা পদ্মফুলে জল ফড়িঙের প্রাণ ছোঁয়া,
পাপড়ি দলের দোলার দেশে যাবে আমার মন খোয়া।
আলতো তালে আছড়ে পড়া কাজলা জলের তরঙ্গণ,
দোলায় দোলায় টলোমলো দোল-দোলাবে আমার মন।
শান বাঁধানো ওই ঘাটেতে কাল কাটাবো চুপসারে,
দেখবো রাঙা মাছরাঙাটা কেমন চুপে ডুব মারে।
ছোঁ মেরে সে সুচাল ঠোঁটে আনলে তুলে জ্যান্ত মাছ,
মনটা ভরে দেখবো তখন মাছশিকারি পাখির নাচ।
ঘাটের পিছের খেজুর গাছে ঝুলতে থাকা রস-ঘড়া,
গাছি যখন আনবে পেড়ে দেখবো হাসি মন-হরা।
ধানের মাঠে দেখবো দোলা সোনা বরন ধানের শিষ,
মেঠো পথে দেখবো যেতে দলবাঁধা সব গো-মহিষ।
আমার রাতের স্বপনমাখা পথের রাঙা ধুলোর ঝড়,
পেঁজাতুলোর ডানায় চড়ে পেরিয়ে যাবে তেপান্তর।
রাঙাপালের নৌকোগুলোর হোক যে-ঘাটেই ঘরবাড়ি,
দেখবো ওরা কেমন করে সাত সমুদুর দেয় পাড়ি।
দেখবো মাঠের ঘাসফুলেরা কোন বাহারে ছড়ায় রঙ,
দেখবো সবুজ দূর্বাঘাসে ঘাস-ফড়িঙের নাচের ঢঙ।
খেলার সাথি সবাই মিলে জুড়বো আবার কোলাহল,
বুকে বুকে বুক জড়িয়ে মুছবো সুখের অশ্রুজল।