সেতুতে উঠতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার

সাইফুল ইসলাম, নাটোর
| আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২১, ১৪:১৮ | প্রকাশিত : ০৪ মার্চ ২০২১, ১৪:১৪

নাটোরের সিংড়া উপজেলার লালোর ইউনিয়নের বন্দর-টু-কালিগঞ্জ সড়ক সংলগ্ন মাঝগ্রাম-গোপালপুর মসজিদ ও কবরস্থানের নিকট সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় কংক্রিট সেতুতে উঠতে মাঝগ্রাম-গোপালপুর গ্রামের জামে মসজিদের মুসল্লিরা ও এলাকার জনসাধারণকে পার হতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অধীণে গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের গোপালপুর কবরস্থানের উপর ৩৬ ফুট সেতু নির্মাণের কাজ পান নাটোরের উত্তর বড়গাছার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স লোকনাথ এন্টারপ্রাইজ। সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৪০০ টাকা।

গত বুধবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, কংক্রিট সেতুর দুই প্রান্তে বাঁশ বেঁধে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনসাধারণকে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে ওই সেতুতে উঠতে হচ্ছে।

মাঝগ্রাম-গোপালপুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ওসমান আলী জানান, বন্যায় দুর্ভোগ লাঘবে মুসল্লিদের চলাচলের জন্য গোপালপুর চুরামনবাটি মৌজায় একটি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। কিন্তু সেতু নির্মাণের ফলে সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় মসজিদ ও কবরস্থানে আসা শতাধিক মুসল্লিকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পরে সেতুর দুই পাশে নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয় কৃষক রফিকুল ইসলামের সহধর্মিনী জলি বেগম বলেন, প্রায় এক বছর হল সেতু নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাছাড়া, সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে উঠতে পার্শ্ববর্তী গৃহিণী আয়েশা বেগম ও তার শিশু ছেলে-মেয়ে পানিতে পড়ে আহত হয়েছেন। প্রায়ই সেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুত সেতুর পাশে মাটি ভরাটের দাবি জানান তিনি।

তবে মেসার্স লোকনাথ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী বিধান সরকার মুঠোফোনে বলেন, সেতুটির নির্মাণ কাজ অনেক আগেই শেষ হলেও বরাদ্দ এবং মাটি সমস্যার জন্য সংযোগে মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে এখানে কোনো মাটির সমস্যা নেই উল্লেখ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারের উদাসীনতার কারণে সেতুটি অকেজো হয়ে আছে। বিষয়টি নিয়ে বার বার তাগিদ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সিংড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল আমিন সরকার জানান, সেতু নির্মাণের প্রায় এক বছর হলেও বরাদ্দ না থাকায় ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এখন পর্যন্ত সাত লাখ ২২ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে দ্রুতই সেতুর দুই পাড়ে মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৪মার্চ/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :