দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২১, ২০:১৫ | আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২১, ২০:২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকায় বাংলাদেশের  স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশকে  বড় অর্জন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে । দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামের উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের মিল আছে উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমটিতে প্রকাশিত  বাংলাদেশ ইজ বিকামিং সাউথ এশিয়াস ইকোনমিক বুল কেস‘ শীর্ষক এক নিবন্ধে  বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামে সফল যেসব উন্নয়ন মডেলের মাধ্যমে বড় ধরনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, সেদিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের নাম উল্লেখযোগ্য। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে রপ্তানিমুখী উন্নয়ন বর্তমানে সবচেয়ে কার্যকর। আর বাংলাদেশে এই কাজটি হয়েছে খুব ভালোভাবে।

এর আগে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ একটি অর্থনৈতিক ল্যান্ডমার্ক অর্জন করে। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য সুপারিশ করেছে। স্বাধীনতার পর প্রায় ৫০ বছর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই উপ-বিভাগে (সাব-গ্রুপ) ছিল।

রিপোর্টে বলা হয়, গত দশকে যখন ভারত পাকিস্তানের রপ্তানি প্রান্তিকভাবে হ্রাস পেয়েছে  সেখানে গার্মেন্টস শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ডলারে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের জন্য এখন পরবর্তী ধাপে ভিয়েতনামের মতো উচ্চমূল্যে রপ্তানিপণ্য উৎপাদন হবে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এখন অতিমাত্রায় তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎপাদন সক্ষমতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩টি দেশের মধ্যে ১০৮তম। অথচ ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের অবস্থান এর চেয়ে ভালো ছিল।

ওই নিবন্ধে বাংলাদেশের জন্য এশিয়া অঞ্চলের প্রধান বাণিজ্য জোটগুলোর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান, রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনোমিক পার্টনারশিপ কিংবা কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রোগ্রেসিভ ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপের সদস্য নয়। তাই বাংলাদেশকে আন্তঃএশিয়া সরবরাহ ব্যবস্থায় আরও বেশি যুক্ত হতে হবে। পূর্বাঞ্চলের প্রতিবেশীদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। আর এর জন্য বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী উৎপাদন খাতে আরও বৈচিত্র্য আনার প্রয়োজন পড়বে।  

 

নিবন্ধে বলা হয়েছে, এসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ দেশটির উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই ধরে নেওয়া যায়। দক্ষিণ এশিয়ায় যারা উন্নয়নে ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে, তাদের জন্য এটা সতর্কবার্তা।

(ঢাকাটাইমস/০৪মার্চ/কেআই)