বিএনপি রাজপথে না নামলেও সরকার থাকবে না: গয়েশ্বর

প্রকাশ | ০৫ মার্চ ২০২১, ১৫:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিএনপি রাজপথে না নামলেও সরকার আর ক্ষমতায় থাকবে না বলে মনে করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর রায় বলেছেন, ‘জনগণের কাছে শিরোপা পাবে কি না, বাহবা পাবে কি না, সে কথা ভেবে বিএনপিকে আগামীর পথ চলতে হবে। আমরা (বিএনপি) রাজপথে নামি আর না নামি, সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার) থাকবে না।

বিএনপিপন্থি সংগঠন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, গণমাধ্যম, গণকণ্ঠ অবরুদ্ধ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোন পথে?’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার বীর উত্তম খেতাব বাতিলের উদ্যোগ নিয়েও কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছিল যুদ্ধের মাধ্যমে। কোনো বক্তব্যের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়নি। যে যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে খেতাব কে দিল কি দিল না, জিয়াউর রহমানকে কী বললো কী বললো না তাতে কিছু যায় আসে না। জিয়াউর রহমান জিয়াউর রহমানের জায়গায় আছেন, থাকবেন। ওরা (আওয়ামী লীগ) মাঝে মধ্যে আমাদের সংবেদনশীল জায়গায় স্পর্শ করবে, আঘাত করবে। সেটা নিয়ে যদি আমরা ব্যস্ত হই, তাহলে তারা আরামে দিন কাটাবে। গত ১২-১৩ বছর আমরা এমনই দেখেছি।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগের যে চরিত্র, আওয়ামী লীগ যা চায়, তাতে আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের জন্য। আর মানুষ মানুষের জন্য। আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য না। কারণ আওয়ামী লীগকে মানুষের কাতারে ফেলা যায় না। সেই ক্ষেত্রে ওরা সফল। ওরা ওদের কাজে ব্যর্থ না। ওরা পত্রিকা বন্ধ করা, পায়ের রগ কাটা, সাংবাদিক পেটানো, চুরিচামারি, মানুষের সম্পত্তি দখল, শিশু-নারী নির্যাতন, ব্যাংক ডাকাতি ও ছিনতাই করছে। এটা ওদের অর্ধশত বছরের ঐতিহ্য।

আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ভাষা আন্দোলনে আওয়ামী লীগের কোনো ভূমিকা নেই। ভাষা সৈনিক মতিন, অধ্যাপক গোলাম আযম, তজমুদ্দীন মজলিস এরাই ভাষা আন্দোলনের সুতিকাগার। এখন আওয়ামী লীগ বলে ভাষা আন্দোলনেও নাকি শেখ মুজিবের ভূমিকা ছিল। এটা হাস্যকর।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রসঙ্গ তুলে আলাল বলেন, এখন নির্বাচন নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। জানিপপের নাম শুনছেন, সেই কলিমুল্লাহ, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, এখন তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে চোর বলেন, আর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কলিমুল্লাহ চোর। সেই চোর জানিপপ নির্বাচনের সার্টিফিকেট দেয়। এখন নির্বাচন হাসিঠাট্টার। এ সরকার বৈধ-অবৈধ কিছু নেই, এটা একটা রাজত্ব। এ হায়নার রাজত্ব ভাঙতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিপ্লব করতে হবে। যেটা বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা করেছেন। বিএনপির দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। যে যার অবস্থান থেকে বিপ্লব করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/বিইউ/কেআর)