‘বাঙালির জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ছিল ভাষা আন্দোলনের লক্ষ্য'

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২১, ১০:৫৫ | প্রকাশিত : ০৬ মার্চ ২০২১, ২২:৫৯
ফাইল ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, “১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রভাবনায় ছিল না। তাঁর রাষ্ট্রভাবনায় ছিল ভারতের পূর্ববঙ্গে আরেকটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভাষা আন্দোলনে প্রথম কারাবন্দী। ভাষা আন্দোলনকেই বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে রূপ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। ভাষা আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল বাঙালির স্বতন্ত্র জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, কোন অবস্থায়ই নিছক পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন নয়।”

শুক্রবার (৫ মার্চ ২০২১) রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ রচিত মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে গবেষণাধর্মী ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা’ শীর্ষক বইয়ের ভার্চুয়াল প্রকাশনা উৎসবে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সেকরেট ডকুমেন্টস, সম্প্রতি প্রকাশিত আইবি রিপোর্টসহ অন্যান্য প্রাথমিক দলিলপত্রের উপর ভিত্তি করে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরে ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, “ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাঙালি জাতিরাষ্ট্র গঠনের চিন্তা-ভাবনা নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিল। এ কারণে ভাষা আন্দোলন বুঝতে হলে বঙ্গবন্ধুর যে স্বতন্ত্র জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার চিন্তা, ভাবনা ও রাষ্ট্রভাবনা তার আঙ্গিকে বুঝতে হবে। ভাষার মর্যাদা বা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদার দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে সঠিকভাবে মূল্যায়ন হবে না।”

প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে বইয়ের উপরে বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক প্রফেসর ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মীজানুর রহমান।

প্রকাশনা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর, অন্যপ্রকাশ প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, “ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনেক বই প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু সেসব বইয়ে পটভূমি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। ১৯৪৮ সাল থেকেই মূলত ভাষা আন্দোলন শুরু। এটা শুধু ৫২ সালে নয়। এই পটভূমিটা প্রফেসর ড. হারুনের লেখা বইয়ে বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। এই বইটিতে ভাষা আন্দোলনের একটা সামষ্টিক দিক উঠে এসেছে।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিহাসে অনেক ভুল থাকতে পারে। সেগুলো শুদ্ধ করার সুযোগ থাকা উচিত। আর্কাইভটা আমাদের খুবই জরুরি। একটা আর্কাইভ করা হয়েছে কিন্তু সেখানে যাদেরকে বসানো হয়েছে তারা গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস সরিয়ে ফেলছেন। যার উপর ভিত্তি করে আমরা বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস রচনা করবো সেই মেটারিয়ালসগুলো যেন আমরা সংরক্ষণ করি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

১৮৮ পৃষ্ঠা জুড়ে লেখা এই বইটিতে ভূমিকা ও উপসংহার ছাড়াও ৬টি অধ্যায় ও গুরুত্বপূর্ণ পরিশিষ্ট রয়েছে। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৪২০ টাকা এবং এর প্রকাশক হল অন্যপ্রকাশ।

(ঢাকাটাইমস/৬ মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :