ইরাক সফরে কোরআন তেলাওয়াত শুনলেন পোপ ফ্রান্সিস
পোপ ফ্রান্সিস ইরাকের প্রাচীন সুমেরীয় শহর উর পরিদর্শন করে কোরআন তেলাওয়াত শুনেছেন। গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো চারদিনের ঐতিহাসিক সফরে ইরাকে পৌঁছান তিনি।
ডেইলি সাবাহ’র খবরে বলা হয়, শুক্রবার ইরাকে অবতরণ করার পর বিমানবন্দরে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমি পোপ ফ্রান্সিসকে স্বাগত জানান। দেশটিতে ভ্রমণ করতে পেরে দারুণ খুশি উল্লেখ করে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘এটা একটি প্রতীকী ভ্রমণ এবং এত দীর্ঘ সময় ধরে রক্ত ঝরা ভূমির প্রতি এটি একটি কর্তব্য পালন।’
পোপ ফ্রান্সিস শনিবার পবিত্র শহর নাজাফে ইরাকের সকল মানুষের সহাবস্থানের আহ্বান জানাতে শিয়াদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু আয়াতুল্লাহ আলি আল সিস্তানির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এরপর তিনি ইরাকের দক্ষিণে নবী ইব্রাহীমের জন্মভূমি উর শহর পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি কোরআন তেলাওয়াত শোনেন।
উরে পোপ ফ্রান্সিস ইরাকের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনার পর বলেন, ‘সকল কিছু এই শহর থেকে শুরু হয়েছিল।’ প্রসঙ্গত, প্রাচীন উর শহর ইসলাম, খ্রিস্টান ও ইহুদী এই তিন ধর্মের জন্যই পবিত্র স্থান। এখানে নবী আব্রাহাম (নবী ইব্রাহিম) জন্মেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। উর শহরে প্রার্থনার পর পোপ ফ্রান্সিস সেন্ট জোসেফ ক্যাথেড্রলে দেশের গণ মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
ইরাক খ্রিস্ট ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিসকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে। দীর্ঘ সংঘাতময় দেশ ইরাকে পোপ ফ্যান্সিসের ভ্রমণ আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।ইরাকে এক সময় ১০ লাখের বেশি খ্রিস্টান জনসংখ্যা ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশটিতে খ্রিস্টান ধর্মের আড়াই থেকে চার লাখ জনগোষ্ঠী রয়েছে। দীর্ঘ যুদ্ধ, ধমীয় নিপীড়ন এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার কারণে দেশটিতে খ্রিস্টান ধর্মের জনসংখ্যা কমছে বলে ধারণা করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৭মার্চ/কেআই)