নারী দিবসে পাঁচ জয়িতা পাচ্ছেন সম্মাননা

প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০২১, ১৬:৩৬ | আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২১, ১৯:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ( ৮  মার্চ) জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচজন জয়িতাকে সম্মাননা দেবে সরকার। আগামীকাল বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নারী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন অনুষ্ঠানে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জয়িতাদের হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেবেন। তাদের প্রত্যেকে পাবেন এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ।

এবার বরিশালের হাছিনা বেগম নীলা, বগুড়ার মিফতাহুল জান্নাত, পটুয়াখালীর মোসাম্মৎ হেলেন্নেছা বেগম, টাঙ্গাইলের রবিজান ও নড়াইলের অঞ্জনা বালা বিশ্বাস শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে সম্মাননা পাচ্ছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।

এবার নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’। করোনাকালে বাংলাদেশের চিকিৎসক, নার্স, প্রশাসন,  আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সব পর্যায়ের নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

এ বছর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী নির্বাচিত হয়েছেন বরিশাল বিভাগ থেকে বরিশাল জেলার হাছিনা বেগম নীলা। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী।

শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সেরা সফল নারী হলেন রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার মিফতাহুল জান্নাত। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসএস অধ্যনরত ও একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী।

সফল মা হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার মোসাম্মৎ হেলেন্নেছা বেগম। তিনি ছয় ছেলে ও তিন মেয়ের সবাইকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তার বড় ছেলে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি, মেজ ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত একজন।

নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করার ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিজান। তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাক-হানাদার বাহিনীর নির্মম পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন।

এ ছাড়া সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলার অঞ্জনা বালা বিশ্বাস। তিনি নারীদের দর্জি ও হাতের কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভর করার জন্য ১৯৭৫ সালে মাতৃকেন্দ্র নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী দেবেন। গণমাধ্যমে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।

অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো। সব জেলা-উপজেলায় নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, অধিকার এবং এ বিষয়ে প্রচার ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও আলোচনা অনুষ্ঠান।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/৭মার্চ/মোআ)