৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার পথনির্দেশ: আমু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ মার্চ ২০২১, ১৯:৪৭

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার পথনির্দেশ। কীভাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র সৃষ্টি হবে তার পরিকল্পনা ছিল ৭ মার্চের ভাষণ। দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের কোনো প্রশিক্ষণ ছিল না। তারা কোনো শৃঙ্খলিত বাহিনীতে যুক্ত ছিলেন না। তারা সবাই ছিলেন লুঙ্গি পরা। বঙ্গবন্ধুর এক নির্দেশনায় বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের জন্য সশস্ত্র জাতিতে পরিণত হয়।

রবিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুম অ্যাপসের মাধ্যমে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিকভাবে অসাধ্য সাধন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ ছিল মুক্তির দিক-নির্দেশনা। এই ভাষণে সব দিকেই তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ৭ মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা ছিল। এই ভাষণের নির্দেশনায় জাতি মুক্তির পথ বেছে নেয়।

আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য ও প্রথিতযশা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ৭ মার্চ হলো সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের রোডম্যাপ। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ রচনার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। ১৯৪৭-৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনেরই একটি পর্যায় হচ্ছে ৭ মার্চ। আর স্বাধীনতা হচ্ছে ৭ মার্চের পরিণতি। যে কারণে একটি ভাষণ একটি জাতিরাষ্ট্রের সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতেও মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে যা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ এবং অধিভুক্ত কলেজগুলোর অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীরা জুম অ্যাপসের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৭মার্চ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :