আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই মেয়র প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষ

কসবায় আড়াই শ জনকে আসামি করে মামলা

প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০২১, ১৯:৪৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপির উপস্থিতিতে দুই মেয়র প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। কসবা থানার এস.আই আনোয়ার হোসাইন বাদি হয়ে শনিবার রাতে দ্রুত বিচার আইনে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো অজ্ঞাতনামা ২০০/২৫০ জনকে আসামি করে এই মামলা করেন।

গত শুক্রবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান পৌর ও আগামী নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এমরান উদ্দিন জুয়েল এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এম.এ আজিজের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

শনিবার মামলার পর রাতেই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলেন, হৃদয় খাঁন(২২), মো. রাসেল(৩০), মো. কাইয়ুম(২২), মো. রবিন, সালাউদ্দিন(২৭) ও রবিউল্লাহ(৩২)।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়ার সঙ্গে  যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মামলার এজহারনামীয় ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, রবিবার সকালে গ্রেপ্তারদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে প্রায় এক বছর পর আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক গত শুক্রবার সকালে কসবা উপজেলা অডিটোরিয়ামে স্মার্ট কার্ড বিতরণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‌্যাল উদ্বোধন করার জন্য তার নির্বাচনী এলাকার (কসবা-আখাউড়া) কসবায় আসেন।

মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এমরান উদ্দিন জুয়েল ও এম.এ আজিজের সমর্থকরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে অডিটোরিয়ামের দিকে আসতে থাকেন। এ সময় দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি শ্লোগান ও ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়।

এক পর্যায়ে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। হামলাকারীরা প্রতিপক্ষের ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বেলা সোয়া ১১টার দিকে মন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে মন্ত্রী তার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশি  নিরাপত্তায় উপজেলার পানিয়ারুপ নিজ বাড়িতে চলে যান।

পুলিশ সংর্ঘষে জড়িতদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে। পরে থেমে থেমে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে দুদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

হামলাকারীরা কসবা পুরাতন বাজারে অবস্থিত ব্যাংক এশিয়া, সীমান্ত কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দোকানে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে। কসবা উপজেলা কমপ্লেক্সের গেইট থেকে টি.আলী কলেজ মোড় পর্যন্ত রাস্তায় উভয় পাশের বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে।

(ঢাকাটাইমস/৭মার্চ/কেএম)