মিয়ানমারের উভয় পক্ষের সঙ্গে বসতে চায় চীন

প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০২১, ১৯:৪৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে দেশটির সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় চীন। রবিবার  চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এখন সবথেকে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হলো রক্তপাত এবং সংঘর্ষ  বন্ধ করা। 

মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট পরিস্থিতিকে ‘চীন যেমনটি চেয়েছিল তেমন নয়’ বলে উল্লেখ করেছে চীন। অভ্যুত্থানের চীনের সংশ্লিষ্টতাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো গুজব বলে আখ্যায়িত করেছে বেইজিং।

এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং বলেন, উত্তেজনা নিরসনে মিয়ানমারের সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনায় বসতে প্রস্তুত চীন। এর মূলভিত্তি হবে মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের ইচ্ছা। চীন গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে চায়।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারে সামরিক শাসনের তীব্র নিন্দা জানালেও চীনের প্রতিক্রিয়া ছিল সতর্ক। দেশটির মিয়ানমারের স্থিতিশীলতার গুরুত্বে জোর দিয়েছে।

চীনা কূটনীতিক আরও বলেন, মিয়ানমারের সব দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে চীনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মিয়ানমারের পরিস্থিতির যতই বদল হোক না কেন চীন-মিয়ানমার সম্পর্কের অবনতি হবে না। এই সম্পর্কে চীনের সহযোগিতা পরিবর্তন হবে না।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিসহ তার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেতৃত্বস্থানীয় ২০ এর অধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এরপর গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে তারা জরুরি অবস্থা জারি করে। কিন্তু মিয়ানমারের সাধারণ জনতা সামরিক শাসন প্রত্যাখান করে এর বিরুদ্ধে রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করে। জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, শুধুমাত্র গত বুধবারই মিয়ানমারের বিক্ষোভে অন্তত ৩৮ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। দেশটিতে সামরিক শাসন বিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত মোট নিহত পঞ্চোশধিক