জমিদারি প্রথার সাক্ষী ‘শৈলকূপা জমিদার বাড়ি’

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২১, ০৮:৩৪ | আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২১, ১০:৩৫

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

জমিদারি প্রথার অনন্য সাক্ষী শৈলকূপা জমিদার বাড়ি। যশোরের জমিদার রামসুন্দর শিকদার বাংলা ১২শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে শৈলকূপা জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিক জমিদার বাড়িটি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার অন্তর্গত আবাইপুর গ্রামে অবস্থিত।

প্রায় ৪০০ বিঘা জমির উপর নির্মিত দ্বিতলবিশিষ্ট বাড়িটিতে সর্বমোট ৩৫০টি কক্ষ রয়েছে। বাড়িটি মূলত ইট, সুরকি ও রড দিয়ে তৈরী। এক সময় জমিদার রামচন্দ্র এখানে সাব-রেজিস্টার অফিস, থিয়েটার এবং বড় একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যা সেসময় শিকদার স্ট্রিট নামে পরিচিত ছিল।

পরবর্তীতে জমিদারি প্রথার অবসানের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো সবকিছুরই বিলুপ্তি ঘটে। তবে জমিদারদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র যেমন- বাদ্যযন্ত্র এসরাজ, রুপার তৈরী বেনারসি শাড়ির অংশবিশেষ, পাথরের হুক্কা ও তরবারিসহ আরও বেশ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এখনো সংরক্ষিত আছে।

জমিদার বাড়ির বর্তমান অবস্থা এখন অনেকটাই ধ্বংসপ্রায়। জমিদার বাড়ির এক অংশে বর্তমানে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আর ওপর অংশে জমিদার বংশের উত্তরসূরিরা এখনো বসবাস করেন। তাদের কাছেই মূলত জমিদারদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত আছে।

যেভাবে যাবেন শৈলকূপা জমিদার বাড়ি

শৈলকূপা জমিদার বাড়ি যাওয়ার ক্ষেত্রে ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে হানিফ, চুয়াডাঙ্গা, সোনার তরী, রয়েল কিংবা এসবি পরিবহনে চড়ে ঝিনাইদহ শহরে যেতে পারবেন। তারপর সেখানকার পায়রা চত্বর থেকে সিএনজি কিংবা ব্যাটারি চালিত অটোতে করে আবাইপুর গ্রামে চলে আসলেই দেখা পেয়ে যাবেন শৈলকূপা জমিদার বাড়িটির। 

কোথায় খাবেন

ভালো কিছু খেতে চাইলে খাওয়ার বিষয়টা আপনাকে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরেই সেরে নিতে হবে। সেখানেই কেবল ভালোমানের খাবার খেতে পারবেন। তাছাড়াও আবাইপুর গ্রামেও হালকা কিছু খাবার পেয়ে যাবেন। তবে সেটা যথেষ্ট নয়।

আরও যেখানে ঘুরবেন

ঝিনাইদহে আসলে জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্ক, বারোবাজার ও নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্টও ঘুরে দেখতে পারেন। এছাড়াও দেখে আসতে পারেন একই জেলার কালীগঞ্জে অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছও।

লেখক: তানভীর রহমান সাইম

ঢাকাটাইমস/০৭মার্চ/একে