ঢাকা থেকে নীলফামারী গিয়ে ছিনতাই-হত্যা

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২১, ১৩:৪৭ | আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২১, ১৩:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নীলফামারীতে ইজিবাইকচালক হত্যা ও ইজিবাইক ছিনতাইয়ের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকা থেকে গিয়ে নীলফামারী এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই চক্রটি ছিনতাই করে থাকে বলে জানিয়েছে সিআইডি। 

সোমবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম। 

এর আগে নীলফামারীতে চালক আবদুল হালিমকে হত্যা করে ইজিবাই ছিনতাইকারী চক্রের তিনজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাসুম আলী, সাদের আলী এবং সমবারু। রবিবার তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার মইকুলী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি ও ইজিবাইক বিক্রির চুক্তিনামা উদ্ধার করা হয়। 

শেখ নাজমুল আলম বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ১১টার দিকে যাত্রীবেশে নিহত আবদুল হালিমের ইজিবাইকে চড়ে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা আবদুল হালিমের হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেটসহ শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে হত্যার পর লাশ রাস্তায় ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর দিন পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে জেলা পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির এলআইসি শাখা এর ছায়া তদন্ত শুরু করে। 

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ঢাকার আশেপাশে বসবাস করে। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। তারা ঢাকাসহ আশেপাশে এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের অপরাধ করে থাকে। এরা ঢাকা থেকে নীলফামারীতে গিয়ে ইজিবাইক ছিনতাই করে সেটি ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে আবার ঢাকায় ফিরে আসে।

নিহত আবদুল হালিম নীলফামারী জেলার চাপড়া কেরানীপাড়া গ্রামের আফসার আলীর ছেলে। তিনি ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার স্ত্রী ও চারটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৮মার্চ/এএ/কেআর)