ট্রাক্টরের মাটি পড়ে আঞ্চলিক সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২১, ১৫:১২

আশফাক জুনেদ, বড়লেখা (মৌলভীবাজার)

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কের স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটায় পরিবহনের কাজে এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন ট্রাক্টরের মাটি উপচে পড়ে সড়কের বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও হালকা বৃষ্টিতে সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাক্টর থেকে পড়া ভেজা মাটির ফলে সড়কের বিটুমিন নষ্ট হচ্ছে এবং অল্পদিনে সড়কের ক্ষতিসাধন হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার উত্তর শাহবাজপুরের বোয়ালী-নিজবাহাদুরপুর, শাহবাজপুর-কানলি সড়ক দক্ষিণ শাহবাজপুরের গ্রামের ভেতরের বিভিন্ন সড়ক, নিজবাহাদুরপুরের কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়ক, দাসের বাজারের কলেজ রোড, গোয়ালটাবাজার-সুড়িকান্দি আঞ্চলিক সড়ক, বর্ণির দাসের বাজার-ফকির বাজার সড়ক, দক্ষিণভাগের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে সরকারি বিধিমালার তোয়াক্কা না করে কৃষি জমি থেকে টানা হচ্ছে ইটভাটা ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি ভরাটের মাটি। আর এসব মাটি টানা হচ্ছে সড়কে নিষিদ্ধ ট্রাক্টর দিয়ে। যার ফলে সড়ক দিয়ে মাটি টানার সময় ট্রাক্টরের ঝাঁকুনিতে সড়কে মাটি উপচে পড়ছে। এই অবস্থায় বৃষ্টি হলেই সড়কে ঝরে পড়া মাটি পিচ্ছিল হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১৩টি নিবন্ধিত ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটায় ইট তৈরির জন্য প্রয়োজন পড়ে মাটির। আর ভাটার কাজে ব্যবহারের জন্য মাটি বোঝাই ট্রাক্টরে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক দিয়ে নেয়া হয়। নেয়ার সময় ট্রাক্টর থেকে উপচে সড়কের উপর মাটি পড়ে এবং ট্রাক্টরের চাকায় লেগে থাকা মাটি সড়কে পড়ে আস্তরণ তৈরি করে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে লেগে থাকা মাটি পিচ্ছিল হয়, ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা উপজেলা শাখার সভাপতি তাহমিদ ইশাদ রিপন বলেন, ‘ইটভাটা কিংবা ব্যক্তি প্রয়োজনে সড়কে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহনের সময় কিছু মাটি নিচে পড়ে যায়। পরে সেই মাটি গাড়ি চলাচলের সময় সড়কে মিশে যায়। এতে সড়কের যেমন ক্ষতি হয়তেমনি সামান্য বৃষ্টিতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা এ ব্যাপারে শিগগির ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দেব।’

মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন বলেন, ট্রাক্টর থেকে মাটি পড়ার কারণে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সড়কের বিটুমিনও নষ্ট হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টির ফলে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায়। আমি এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার বলেন, যে কেউ সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে থানায় অভিযোগ করলে আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

(ঢাকাটাইমস/৮মার্চ/পিএল)