সৈয়দপুরে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ১৭

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ মার্চ ২০২১, ১৭:২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কুকুরের কামড়ে শেষ পর্যন্ত ১৭ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ শিশু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। কুকুর আতঙ্কে রাত জেগে পাড়া-মহল্লায় পাহারা দেয়া হচ্ছে। পাগলা কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে এখন সব কুকুরকেই এলাকা ছাড়া করতে লাঠি হাতে রাস্তায় নেমেছে যুবকরা। এছাড়া সৈয়দপুরে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন না থাকায় নীলফামারী জেলা সদর হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে আক্রান্তদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সাহেবপাড়া এলাকার কামালের ছেলে ইসমাইল বাড়ির পাশে রাস্তায় খেলার সময় হঠাৎ পেছন থেকে একটি কালো রংয়ের কুকুর এসে পড়নের প্যান্টের উপর দিয়েই নিতম্বে কামড়ে ধরে। এতে তার নিতম্বের মাংস অনেকটাই কামড়ে ছিঁড়ে নেয় কুকুরটি। বড় ভাই ইব্রাহিম তাকে উদ্ধার করতে গেলে তার পায়েও কামড় দেয় কুকুরটি।

পরে দুই ভাইয়ের আর্তচিৎকারে পাশের লোকজনসহ পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

এদিকে একইদিন দুপুর ২টার দিকে শহরের মিস্ত্রিপাড়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে কালো রংয়ের একটি কুকুর হঠাৎ পায়ে কামড়ে দেয় মুন্নার স্ত্রী শাবানাকে। এসময় এলাকার আরও তিনজনকে কামড় দেয় কুকুরটি। পৌরসভার ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুবিনা সাকিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় মিস্ত্রিপাড়ার রাজুর ছেলে হাসানকে(৬) কামড় দিয়ে গালের মাংস খসিয়ে নেয় কুকুরটি। এতে তার আটটি সেলাই দিতে হয়েছে।

একইভাবে ওইদিন গত রাতে মিস্ত্রিপাড়া সেতু কারখানা সংলগ্ন এলাকাসহ ওয়াপদা মোড়, গোলাহাট এলাকাতেও কুকুরটির আক্রমণের শিকার হন আরও প্রায় ১০ জন। তাদের বেশিরভাগরই মুখে বা নিতম্বে কামড়ে দিয়েছে কুকুরটি। এদের সবাইকে কমপক্ষে তিনটি থেকে আটটি পর্যন্ত সেলাই দিতে হয়েছে।

আক্রান্তরা দ্রুত সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের তাৎক্ষণিক নীলফামারী জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরে তারা সেখান থেকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে তা শরীরে পুশ করেন।

সৈয়দপুরে প্রায়ই কুকুরের কামড়ে লোকজন আক্রান্ত হলেও এখানে ভ্যাকসিন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নয়তো সরকারি হাসপাতালের বাইরে কোনো ফার্মেসি থেকে অতিরিক্ত দামে ভ্যকাসিন কিনে ব্যবহার করতে হয়। দরিদ্র মানুষের পক্ষে তা নেয়া সম্ভব না হওয়ায় দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নীলফামারী দিয়ে নানা ঝক্কি ঝামেলা সহ্য করে তারপর ভ্যাকসিন নিতে হয়।

এলাকাবাসীর দাবি আগের মতো এখনও সৈয়দপুরে অতি প্রয়োজনীয় এই ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা করা হোক।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওমেদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কুকুরের কামড়ে আক্রান্তদের হাসপাতালে আসামাত্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা সেখানে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং এখন সুস্থ আছেন।

সৈয়দপুরে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় এবং সব সময় প্রয়োজন না হওয়ায় জেলা সিভিল সার্জনের অধীনে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলেই তা সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৮মার্চ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :