সাড়ে ১৪ বছর ধরে পড়ে আছে ফেরি দুইটি

খালেদ মাহামুদ হাসান,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)
 | প্রকাশিত : ০৮ মার্চ ২০২১, ১৮:২১

চট্টগ্রামের আনোয়ারা-বাশঁখালী সংযোগ তৈলারদ্বীপ সেতু নির্মাণ হওয়ায় প্রায় সাড়ে ১৪ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ-চানপুর নৌরুটে চলাচলকারী ফেরী দুইটির ব্যবহার। ফলে অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ফেরি দুইটি।

দীর্ঘদিনের সংরক্ষণের অভাবে মরিচা পড়ে ক্ষয় হচ্ছে শঙ্খনদীর পাড়ে পড়ে থাকা ফেরি দুইটির বিভিন্ন অংশ। এছাড়া রাতের আঁধারে চুরি হচ্ছে ফেরির মূল্যবান যন্ত্রাংশ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চুরি হতে হতে দুইটি ফেরির মধ্যে ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে একটি। বাকি যে একটি আছে তা যেন থেকেও নেই। ফেরির এক অংশ প্রায় পানির নিচে ডুবে আছে। বাকি অংশে গবাদিপশুর খড়, গাদা ও গোবর শুকাতে দিয়েছে স্থানীয়রা। এছাড়া শঙ্খনদীর পাড়ের অনেকটা জায়গা দখল করে আছে নষ্ট ফেরিগুলো। ফলে আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ ফেরীঘাট এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আশির দশকের দিকে আনোয়ারা-বাশঁখালীর মানুষের কষ্ট লাগবে তৈলারদ্বীপ-চানপুর নৌরুটে ফেরি চালু হয়। তবে ফেরি চলাচলে মানুষকে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই ভোগান্তি থেকে উত্তোরণে ২০০১ সালে ফেরিঘাট সংলগ্ন একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে সরকার এবং ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট সেতুটি যানচলাচলের জন্য খুলে দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে টিউলিটি টাইপ-২ নামে কোটি টাকা মূল্যের উন্নতমানের এই ফেরি দুইটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

৬ নম্বর বারখাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসনাইন জলিল চৌধুরী শাকিল জানান, ফেরি দুইটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সম্পদ।এই ফেরিগুলো দিয়ে প্রতিবছর অনেক টাকা রাজস্ব আদায় করত সরকার। কিন্তু বর্তমানে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে তৈলারদ্বীপ এগুলো বিলীন হতে বসেছে। ফেরি দুইটির কারণে ফেরিঘাট এলাকায় বেড়ীবাঁধ নির্মাণের কাজও বন্ধ হয়ে আছে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের (দোহাজারী) প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, এ বিষয়ে সওজের ফেরি বিভাগকে জানানো হয়েছে। খুব শিগগির ফেরি দুইটি অপসারণের প্রক্রিয়া চলছে।

(ঢাকাটাইমস/৮মার্চ/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :