‘পুঁজিবাজারে মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির বিকল্প নেই’

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২১, ১৯:২০

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার জন্য ভালো সিকিউরিটিজের তথা ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ।

সোমবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ক্যাপিটাল ইস্যু বিভাগের উদ্যোগে কমিশন ভবনের মাটিপারপাস হলে ‘সেমিনার অন দ্যা রোল অব ইস্যু ম্যানেজার ফর আইপিও অ্যাপলিকেশন’ শীর্ষক একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারে মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইস্যু ব্যবস্থাপককে অন্যতম ভূমিকা পালন করতে হবে। শুধু আইনগত বাধ্যবাধকতার জন্য ডিউ ডিলিজেন্স দেবেন আর ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন রিপোর্ট প্রদান করবেন তা কিন্তু নয়। ইস্যু ব্যবস্থাপককে অবশ্যই পুঁজিবাজারের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের সক্রিয় অংশীজন হিসেবে তার যথাযথ দায়িত্ব পালন এবং আস্থা সৃষ্টি করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান বলেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা পরবর্তী সময়ে ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে আরও সুনিপুণভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে রোল অব ইস্যু ম্যানেজার ফর আইপিও অ্যাপলিকেশনের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। মূল প্রবন্ধে তিনি আইপিও প্রক্রিয়া ও আইপিও প্রক্রিয়ায় ইস্যু ব্যবস্থাপকের ভূমিকা নিয়ে তার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

রেজাউল করিম বলেন, ‘ইস্যু নির্বাচন ও ইস্যু আনয়নের ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। নিরীক্ষকের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর না করে আইন মোতাবেক ইস্যু ব্যবস্থাপককে ইস্যুয়ারের আর্থিক প্রতিবেদনের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করতে হবে। ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন রিপোর্টের সাথে আর্থিক প্রতিবেদন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বিল ও অন্যান্য প্রতিবেদনের অসঙ্গতি আছে কি না তা দেখতে হবে এবং সব ঠিক থাকলে তারপর ডিউ ডিলিজেন্স দেবেন।’

রেজাউল বলেন, ‘ইস্যু ব্যবস্থাপক শুধু ইস্যুয়ারের আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ডিউ ডিলিজেন্স দেবেন না বরং সবকিছু যাচাইপূর্বক ডিউ ডিলিজেন্স দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারসহ প্রায় ১২০ জন উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৮মার্চ/এসআই/জেবি)