দুদকের মামলায় কারাগারে এসআইয়ের কোটিপতি স্ত্রী

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার বেগমকে। তিনি ঢাকায় কর্মরত সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নওয়াব আলীর স্ত্রী।

দুদক সূত্র জানায়, এই দম্পতির ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তবে অধিকাংশ সম্পদের মালিক স্ত্রী গোলজার। যা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরে ফ্ল্যাট ও প্লটের মালিক গোলজার বেগম। চড়েন ব্যক্তিগত গাড়িতে। কিন্তু তার এতোসব অর্জন তার পুলিশ স্বামীর অবৈধ আয়ে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্প্রতি এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপঙ্কর ঘোষকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আজ সেই মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গোলজার বেগম। তিনি আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুদক সূত্র জানায়, নওয়াব আলীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়া এলাকায়। ১৯৯২ সালে কনস্টেবল পদে যোগ দেন তিনি। সেখানে নিজের নামে ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ জমির উপর একটি দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন।

আর স্ত্রী গোলজারের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ ১ হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় ৪ শতক জমি রয়েছে। এছাড়া গোলজারের নামে একটি মাইক্রোবাসও রয়েছে।

দুদক বলছে, এসআই নওয়াব আলী কৌশলে স্ত্রী গোলজারকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক সাজিয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/০৯মার্চ/ইএস