সাড়ে তিন বছর পর পুলিশের জালে ‘খুন হওয়া যুবক’
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার শুশুতি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে নাজমুল হোসেন। হত্যার পর তার লাশ গুম করা হয়েছিল বলে ময়মনসিংহ আদালতে মামলা করা হয় তার পরিবারের পক্ষ থেকে। মামলায় যাদের আসামি করা হয় তারা দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সাড়ে তিন বছর পর গ্রেপ্তার করা হলে আসামিরা নাজমুলকে হত্যা করেননি বলে পুলিশকে জানায়। বরং নাজমুলকে লুকিয়ে রেখে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে বলে তারা জানান।
এরপরেই নাজমুলের সন্ধান পেতে অভিযানে নামে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। অবশেষে গত সোমবার বিকালে উপজেলার শুশুতি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালে উপজেলার গোদাপাড়া গ্রামের মোতালেবের মেয়ে নুরুন্নাহারের সঙ্গে বিয়ে হয় নাজমুল হোসেনের। তাদের ঘরে দুই মাসের ছেলে সন্তানও ছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্ত্রী নুরুন্নাহারের দাঁত ভেঙে দেন নাজমুল। এরপর স্ত্রীর করা মামলা থেকে রেহাই পেতে নাজমুলকে লুকিয়ে রাখেন তার বাবা আব্দুল জলিল। একইসঙ্গে নুরুন্নাহারের বাবা মোতালেব হোসেন, বড় ভাই মোশাররফ হোসেন ও তার চাচা হাকিম মৃধার নামে ময়মনসিংহ আদালতে মামলা করেন নাজমুলের বাবা আব্দুল জলিল। নাজমুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর তার লাশ গুম করা হয়েছে বলে মামলার বিবরণে বলা হয়।
হত্যা মামলার আসামি নুরুন্নাহারের বড় ভাই মোশাররফ হোসেন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমের মামলা দিয়ে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর হয়রানি করা হয়েছে। তারা গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, নাজমুলকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে রেখে গুম ও হত্যার মিথ্যা মামলা দিয়ে একটি পরিবারকে দীর্ঘদিন হয়রানি করা হয়েছে। অবশেষে নাজমুলকে আটকের পর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/এমআর