নিজের ম্যাজিকেও শেষ রক্ষা হলো না জিনের বাদশার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ মার্চ ২০২১, ২০:০৫ | প্রকাশিত : ১০ মার্চ ২০২১, ১৭:২২

তিনি ‘জিনের বাদশা’। মন্ত্রবলে ‘অসুস্থ’ ব্যক্তিকে দেন ‘সুস্থ’ করে। তার ক্ষমতা এখানেই শেষ নয়। সাদা কাগজকে টাকায় রূপান্তরও করতেন তিনি! আর এসব কিছু করতে পারার দাবি করে ঠকিয়েছেন নানা ব্যক্তিকে। তবে তার নিজের ম্যাজিক তাকে রক্ষা করতে পারেনি, পড়েছেন ধরা।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি কথিত জিনের বাদশা তারিকুল ইসলামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত মঙ্গলবার ঢাকা, যশোর ও মাগুরায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অন্য তিনজন হলেন- আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, আল মাসুম ও সাইদুল ইসলাম রাজু। বুধবার ঢাকায় সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে সিআইডি।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক জানান, জিনের বাদশা পরিচয়ে অসুস্থকে সুস্থ করা ও সাদা কাগজ দিয়ে কার্টনভর্তি কোটি কোটি টাকা তৈরি করার কথা বলে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করত এই চক্রটি। এরপর তারা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত।

এমন এক ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক খানের স্ত্রী ও সন্তান দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। জিনের বাদশা তারিকুল ইসলামের সঙ্গে ঘটনাচক্রে পরিচয়ের একপর্যায়ে জিনের বাদশা খালেককে বলেন, তিনি চিকিৎসা করতে পারবেন। সেই মোতাবেক জিনের বাদশা খালেককে কিছু ওষুধ দেন। ওষুধে খালেকের স্ত্রী-সন্তান কিছুটা সুস্থ হয়। এতে জিনের বাদশার প্রতি খালেকের বিশ্বাস দৃঢ় হয়।

অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক জানান, বিশ্বাসের এই সুযোগটি কাজে লাগান জিনের বাদশা পরিচয় দেয়া তারিকুল। তিনি খালেককে বলে যত টাকা দরকার তত টাকা তৈরি করে দিতে পারবেন। প্রমাণ হিসেবে খালেকের সামনেই জিনের বাদশা একটি বালতির মধ্যে রাখা সাদাকাগজ থেকে একহাজার টাকার একটি চকচকে নোট তৈরি করে দেয়। এতে জিনের বাদশার প্রতি খালেকের বিশ্বাস আরো বেড়ে যায়। খালেক জিনের বাদশাকে বলে- এটা তো নতুন নোট। আপনি কিছু পুরাতন টাকা তৈরি করে দেখান। এসময় জিনের বাদশা ওই বালতির মধ্যে কিছু পুরাতন টাকা তৈরি করে দেখান। ম্যাজিকের মতো এমন ঘটনা দেখে খালেকের বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। এসব দেখে খালেক জিনের বাদশাকে ছয়কোটি টাকা তৈরি করে দেয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই টাকা তৈরিতে করতে এক কোটি ৬৬ লাখ টাকার কোরআন শরীফ কিনতে বলা হয়। যা জিনের মাধ্যমে বিশ্বের সব দেশের মসজিদে দেয়া হবে। রাজি হন খালেক।

সিআইডি জানায়, এক কোটি ৬৪ লাখ টাকা পরিশোধের পর বাকি দুই লাখ টাকা দিতে বারবার চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছিলো। এতে সন্দেহ হলে সিআইডির সাহায্য নেন ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি। চক্রটি ঢাকা থেকে যশোরে গিয়ে বাকি দুই লাখ টাকা এসএ পরিবহনের মাধ্যমে পাঠাতে বলে।

প্রতারক চক্রের বিষয়ে ভুক্তভোগী সিআইডিতে অভিযোগ দিলে সিআইডির ঢাকা মেট্রো-পশ্চিমের একটি দল ফাঁদ পেতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয়- একটি প্রাইভেট কার, নগদ সাড়ে ১৫ লাখ টাকা, দুইটি ভেকু, টাকা তৈরির সাদা কাগজসহ বাক্স, মাটি এবং লাল কালিতে আররি হরফে লেখা কিছু কাগজ।

ঢাকটাইমস/১০মার্চ/এসএস/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হটলাইন থেকে গ্রাহককে ফোন, অ্যাকাউন্টের টাকা হাওয়া

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৮, মামলা ৬

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি গ্রেপ্তার 

এটিএম বুথের প্রহরী হত্যা: টাকা লুটের উদ্দেশ্যে নাকি ব্যক্তিগত কারণ? কী বলছে পুলিশ?

রাজধানীতে এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

কেএনএফকে সহযোগিতা, বান্দরবান থেকে একজন গ্রেপ্তার

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার সেই চিকিৎসকের মৃত্যু

রাষ্ট্রপতির আত্মীয় পরিচয়ে প্রতারণা, নিঃস্ব বহু ট্রাভেল ব্যবসায়ী

অপহরণ-ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার, স্কুলছাত্রী উদ্ধার

হুমায়ুন আজাদকে হত্যায় সরাসরি জড়িত জঙ্গি সাবু গ্রেপ্তার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :