ত্বকী হত্যা মামলা: সাত বছর পরে এক আসামির আত্মসর্মপণ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ মার্চ ২০২১, ২০:৩৬

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় দীর্ঘ সাত বছর পরে আত্মসমর্পণ করেছেন আসামি সুলতান শওকত ভ্রমর। বুধবার নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিম (ক-অঞ্চল) কাওছার আলমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ভ্রমর। পরে আদালত জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজমল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সুলতান শওকত ভ্রমর ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি জামিনে ছিলেন। জামিনে থাকা অবস্থায় তিনি দেশত্যাগ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ মেধাবী ছাত্র ত্বকীকে নারায়ণগঞ্জে নিজ বাসার কাছ থেকে অপহরণ করা হয়। ৮ মার্চ তার লাশ পাওয়া যায় শীতলক্ষ্যা নদীর শাখা খালে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে র‌্যাবকে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব হস্তান্তর করে পুলিশ। ত্বকী হত্যার ঘটনা স্বীকার করে সুলতান শওকত ভ্রমর ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর ভ্রমর তার জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করে। ২০১৪ সালের ২০ মার্চ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনেই ছিল ভ্রমর। ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ ত্বকী হত্যা মামলায় জামিনে মুক্ত সুলতান শওকত ভ্রমরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য আদালতে আবেদন করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী।

আসামিপক্ষের আইনজীবী রোজিনা আক্তার রীতা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত সুলতান শওকত ভ্রমরের জামিন না-মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এ মামলায় দীর্ঘ ৮ বছরের তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

সবশেষ মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার অভিযোগত্র দাখিল করতে যে আবেদন করা হয়েছে, সেটা না মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে কোন বাধা নেই বলেছে আদালত। ১ মার্চ দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে শুনানি হয়। তবে আবেদন না-মঞ্জুর করা হলেও র‌্যাবকে অভিযোগপত্র দিতে তাগিদ দেন জানান ত্বকী হত্যা মামলার বাদী রফিউর রাব্বির আইনজীবী জিয়াউল ইসলাম কাজল।

ত্বকী হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ বাবু জানান, ‘ত্বকী হত্যা মামলায় সন্দেহজনক আটজনই পলাতক। ঘটনার পর জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে দুই আসামি ইউসুফ হোসেন লিটন ও সুলতান শওকত ভ্রমর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এখন সব আসামি উচ্চ আদালত জামিনে আছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে র‌্যাবকে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব হস্তান্তর করে পুলিশ। র‌্যাব সদর দপ্তর পুরো মামলার তদন্ত ও তদারকি করছে।’

(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :