নারায়ণগঞ্জে হকার আন্দোলন: আসামি ২৫০

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ মার্চ ২০২১, ২০:৩৮

নারায়ণগঞ্জে হকারদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশের এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে গ্রেপ্তার হকার্স নেতা আসাদসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ঘটনার সময় তিনজনকে লাঠি সোটা ও ইটসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও আঘাত, সড়ক অবরোধ করে যানজট সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে। বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজনের কাছ থেকে পাঁচটি বাঁশের লাঠি, ২১টি ইটের টুকরো, ১১টি কাঠের ডাসা, দুটি রড উদ্ধার করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, মঙ্গলবারের ঘটনায় বাদী এসআই নুরুজ্জামানসহ ওসি শাহ জামান, এসআই মো. রুবেল, এএসআই শিশির আহম্মেদ হামলাকারীদের আঘাতে জখম হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৯ মার্চ বিকাল ৫টা হতে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাতে বসার দাবিতে আন্দোলনরত হকারদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ওই সময়ে বিক্ষুব্ধ হকাররা গেরিলা স্টাইলে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, সলিমুল্লাহ সড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়ে সড়কে আগুন ধরিয়ে দেয়। তিনটি যাত্রীবাহী বাস, একটি প্রাইভেটকার, ছয়টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে। ওই সময়ে বাস থেকে ভয়ে লাফিয়ে নামতে গিয়ে একজন নারীসহ পাঁচজন আহত হয়। হকারদের ইটপাটকেলে অন্তত ১০ জন সদস্য আহত হয়েছে দাবি করেছে পুলিশ।

বিপরীতে হকারদের দাবি, পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের নেতা আসাদুজ্জামানসহ অন্তত আরো ১৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার এসব ঘটনা ঘটে।

এদিকে, বুধবার হকার নেতা আসাদের মুক্তির দাবি ও ‘পুর্নবাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ চলবে না’ এই দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদ চাষাঢ়া শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে। সেখানে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা কমরেড আবু হাসান টিপু।

বিক্ষোভ সমাবেশটি সঞ্চলনায় ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- এমএ শাহীন, আবুল হোসেন, আইয়ুব আলী, নাছির হোসেনসহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দ ও হকারবৃন্দ। তবে সকাল থেকে পুলিশকে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গেছে। যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে সাজোয়া যান থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল পুলিশ। সমাবেশ শেষে বিকালে আবারো সমাবেশের ঘোষণা দেন নেতারা। পরে সমাবেশস্থলের মাইক খুলে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। সমাবেশের পরে হকাররা শান্তিপূর্ণভাবেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :