কবিতা
যুবকণ্ঠ
অতঃপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
একজন অমায়িক শ্রোতা মঞ্চে উপবিষ্ট হলেন।
জনতার কথা শোনার সে কি নিমগ্নতা!
আমি, অতঃপর শব্দটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।
কেননা বিগত ত্রিশ বছর যাবৎ-
ইহা উক্ত শ্রোতার জন্য বড্ড নিত্যনৈমিত্তিক।
একজন বলে উঠলেন আশু বিপদের কথা।
সমাধানের সে কি প্রাণোচ্ছল সুতি গাথা।
তারপর বেকার যুবকের সে কি আকুতি,
শ্রোতা বুঝিলেন তার মনের স্তুতি।
শ্রোতার অভিপ্রায়ে,
সে প্রাণ ফিরে পায়।
বৃদ্ধ পিতার শেষ সম্বলে হায়েনার চোখ।
কে রুখে তাকে,
কার সে সাহস।
শ্রোতা দিলেন সমাধান।
ত্রয়োধিক রাজনীতিকের অদৃশ্যে চাহনি।
শ্রোতায় বিমুগ্ধ তারা,
অপশক্তি দিশেহারা।
মিছে হয়রানি,
রুখে দিলেন শ্রোতা।
কে সে রুখে তাঁরে,
সাধ্য কি তার!
সে যে শত সহস্রের,
চিরচেনা প্রিয় কর্মবীর।
হাজারো দিনের ন্যয়,
লড়ে যাওয়া শাণিত সে হৃদয়।
ছুঁয়ে যাক প্রতিক্ষণ,
শতায়ু হোক এ প্রাণ।
অতল শ্রদ্ধা তবু সকাতরে।
পবিত্র করেছেন যিনি,
এ মাটির তরে।