নারায়ণগঞ্জে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছয়তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ এক পরিবারের ছয়জনের মধ্যে মাহফুজ নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মৃত মাহফুজ মাসদাইর এলাকায় অবস্থিত বেগম রোকেয়া খন্দকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহফুজের ভগ্নিপতি মিশাল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ৮ মার্চ দিনগত গভীর রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মাসদাইর পতেঙ্গার মোড় এলাকায় নাসরিন আক্তারের মালিকানাধীন ছয় তলা বাড়ি হাজী ভিলার ষষ্ঠ তলার ভাড়াটে বাসিন্দার ফ্ল্যটে গ্যাসের লিকেজ থেকে ওই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের ছয়জন অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। দগ্ধরা হলেন- মোহাম্মদ মিশাল (২৮), তার স্ত্রী মিতা (২৪), মেয়ে আফসানা (৫), ছেলে মিনহাজ (১৮ মাস), শ্যালক মাহফুজুল (১২) ও আরেক শ্যালক সাব্বির (১৫)।
গত এক মাস আগে পরিবারটি ষষ্ঠ তলায় তিন রুমের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এই বাড়িতে বসবাস করে আসছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
মৃত মাহফুজের চাচা হোসিয়ারী ব্যবসায়ী শহিদ মিয়া এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমার মেয়ে মৃত মিশালের স্ত্রী মিতা বেগম (২৩), আফসানা আক্তারের (৪) অবস্থা কিছুটা ভালো, তবে মিতা বেগমের দেড় বছরের ছেলে মিনহাজ ও সাব্বির হোসেনের (১৫) অবস্থা গুরুতর।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহফুজ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। হাসপাতালে ওই পরিবারের আরও চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে রাজধানীর হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আগুনে মিশালের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দগ্ধদের মধ্যে মিশালের ১৮ মাস বয়সী ছেলে মিনহাজের শরীরের ৪৫ শতাংশ, মেয়ে আফসানার ১০ শতাংশ, স্ত্রী মিতার ১৫ শতাংশ, শ্যালক মাহফুজুলের ৮৫ শতাংশ, আরেক শ্যালক সাব্বিরের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/জেবি)