নারায়ণগঞ্জে ছাত্র হত্যার অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ৭

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ মার্চ ২০২১, ১৮:৩২ | প্রকাশিত : ১২ মার্চ ২০২১, ১৮:১২

নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র হত্যার অভিযোগে কওমি মাদ্রাসার তিন শিক্ষক ও চার ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে রসুলবাগ মাঝিপাড়া রওজাতুল উলম মাদ্রাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শুক্রবার নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে দুপুরে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ।

নিহত ছাব্বির আহম্মেদ(১৪) রূপগঞ্জ থানার বরপা এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মাদ্রাসার শিক্ষক চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার মধুপুর এলাকার নূরুল ইসলাম মিয়াজির ছেলে শামীম, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার ইমাদপুর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে মাহমুদুল হাসান, ঢাকার গেন্ডারিয়া থানার শাখারিনগর এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে আবু তালহা, মাদ্রাসার ছাত্র, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার উত্তর লক্ষণখোলা এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবু বক্কর, ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার কাজা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শওকত হোসেন সুমন, একই জেলার ফুলপুর থানার ইমাদপুর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে জুবায়ের আহমেদ ও চাঁদাপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ভাটিরগাঁও গ্রামের মৃত তমসির মিয়ার ছেলে আাব্দুল আজিজ।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সাব্বির ওই মাদ্রাসায় আবাসিকভাবে থেকে হিফজ বিভাগে পড়তো। গত ১০ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষক যুবায়ের নিহতের বাবা জামাল হোসেনকে ফোন করে জানান, ছাদে উঠার সিড়ি সংলগ্ন ফাঁকা রডের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁছিয়ে সাব্বির আত্মহত্যা করেছে।

এই খবর পেয়ে নিহতের বাবা মাদ্রসায় গিয়ে অন্যান্য ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে লাশ বাড়িতে নিয়ে দাফনের প্রস্তুতি নেন। লাশের গোসল করানোর সময় ঠোঁটে, কপালে ও মাথার ডানদিকে আঘাতের চিহ্নসহ গালায় রশির দাগ দেখা যায়। তখন সন্দেহ হয় যে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।

পরে বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানালে মাদ্রাসা থেকে অজ্ঞাতনামা হুজুর নিহতের বাবার ফোনে কল দিয়ে ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশকে না জানানোর জন্য বিভিন্নভাবে অনুরোধ জানান। এতে নিহত ছাত্রের অভিভাবকরা হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

মাদ্রাসার শিক্ষক বা সহযোগীদের আঘাতে মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর জন্য লাশ গামছা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে প্রচার করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। পরে নিহতের বাবা জামাল হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে ঘটনা জানালে রাতে পুলিশ ওই সাতজনকে আটক করে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার বাকি চারজন মাদরাসা ছাত্রকে কিশোর অপরাধ আইনে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিহতের লাশ পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে ফেলেছিল। এ কারণে লাশ উত্তোলনের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্যও আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :