বিদ্যালয়ের ঘর বিক্রি, থানায় অভিযোগ!

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ মার্চ ২০২১, ২১:৪৭

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শানপুকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন বিক্রির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় ওই অভিযোগ করা হয়।

রবিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় ওই অভিযোগটি করেন। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- শানপুকুড়িয়া গ্রামের ইয়াছিন আলী বিশ্বাস ও বাচ্চু শেখ।

লিখিত অভিযোগে শহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ে থাকা চার চালা সেমিপাকা ঘর, যাতে ইটের পরিমাণ ৪ হাজার ৫০০, যার আনুমানিক মূল্য ৩৬ হাজার টাকা, ১১ বান টিন, যার মূল্য ৪০ হাজার টাকা, ৩০টি সিমেন্টের খুঁটি, যার মূল্য ১২ হাজার টাকা এবং ঘরের ব্যবহৃত কাঠের মূল্য ৩০ হাজার টাকা, কাঠ ও বাঁশের মূল্য ৩২ হাজার টাকাসহ সর্বমোট আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত না করে বাচ্চু শেখের কাছে গোপনে বিক্রি করেন।

বাচ্চু শেখ ৬ মার্চ রাতে বিদ্যালয়ের ভবনটি ভাঙচুর করে বাড়িতে নিয়ে যায়। তারা বাচ্চু শেখের বাড়িতে গিয়ে ভবনের মালামাল দেখতে পান। এ সময় বাচ্চু শেখ তাদের বলেন, হারুন অর রশিদের কাছ থেকে এসব কেনা হয়েছে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন অন্যান্য আসামির সহযোগিতায় ঘরটি বিক্রি করেছেন। বিক্রির টাকা হারুন অর রশিদ বিকাশের মাধ্যমে সেলিনা খাতুনের কাছে পাঠান। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন বিক্রির বিষয়ে আমি কোনো কিছু জানি না। সহকারী শিক্ষক আসামিদের যোগসাজশে রাতারাতি এ ভবন বিক্রি করেছে। সহকারী শিক্ষক দোষ স্বীকার করে মাপ চেয়েছে।

অভিযুক্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন বলেন, পুরাতন ভবন অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে সহকারী শিক্ষক হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে শান পুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের সভাপতি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করেছি। তবে ঘটনার সাথে আমি জড়িত নয়।

বিক্রিত টাকা বিকাশে গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষক হারুন আমার কাছ থেকে জমি রেজিস্টারি করার জন্য টাকা ধার নিয়েছিল। ধার শোধ হিসেবে ১৩ হাজার ৯০০ টাকা বিকাশ করেছিল।

তিনি আরো বলেন, ভবন বিক্রির টাকা কিনা আমার জানা নেই, তবে হারুনকে আবার বিকাশেই সেই টাকা ফেরত দিয়েছি। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি দুদক মামলার সিডিউলভুক্ত হওয়ায় থানায় জিডি প্রস্তুত করে জেলা সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনারের উপ-পরিচালক বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :