৯৯৯ সাহায্য চাওয়ায় হামলায় সেই এসআই প্রত্যাহার
জরুরি নাগরিক সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্যের বদলে উল্টো সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে আসাদুল হক নামে এক যুবক আহত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ভেড়ামারা থানার কুচিয়ামোড়া পুলিশ ক্যাম্পের সেই উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের পর তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে হামলার ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় মামলা হয়েছে।
হামলার শিকার আসাদুল জানান, গত ১২ মার্চ সকাল ৯টার দিকে জুনিয়াদাহ এলাকায় তার বাড়ির পাশে পদ্মা নদীতে হঠাৎ গোলা-গুলির শব্দ শোনা যায়।। গুলির শব্দ শুনে তিনি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে সাহায্য চান। কিন্তু ক্যাম্প পুলিশের কোন সাড়া না মেলায় তিনি জাতীয় জরুরি সেবা সার্ভিস ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবহিত করি।
ভেড়ামারা থানার ডিউটি অফিসার তার নাম ও মোবাইল নম্বরটি তৎক্ষণাৎ কুচিয়ামোড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জাহাঙ্গীরকে দেন। তার মোবাইল নম্বর পাওয়ার পর কুচিয়ামোড়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন সন্ত্রাসীদের সতর্ক করে দেন এবং তার নাম-পরিচয় তাদের কাছে প্রকাশ করে দেন। পরে তাকে মোবাইলে ফোন করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা হুমকির সুরে বলেন- ‘তুই ফাজলামি করিস, আমি খবর নিয়ে দেখেছি এলাকায় কোনো ঘটনা ঘটেনি’। এ কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলের পাশে তাকে পিস্তল, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার উপর হামলা করে। এ সময় আশপাশের কৃষকরা ছুটে ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ভেড়ামারা থানায় ভুক্তভোগী আসাদুল হক (২৮) আলমগীর, মামুন, মিলন, শাকিল, রুবেল, আসমান, রাবিকসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই জাহাঙ্গীর হোসেনকে রোববার সকালে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোস্তাফিজুর রহমান প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/এলএ)