কবিতা
সুখপরির পদ্য
সুখ-সোহাগি রাজকুমারি,
সাত সাগরের ওপার বাড়ি।
পাইক-পেয়াদা করে শুমার,
সপ্ত ডিংগা ভাসায় কুমার।
জয় করে সুখ আসবে ফিরে,
মাটির দেশে মায়ার নীড়ে।
ভোর না হতেই প্রণয়মালা,
শুকায় মাটির মরুর জ্বালা।
সুখ-পরিটার হাজার পাখা,
মর্ত্যে ধরে যায় না রাখা।
এই পরিটা চপলমতি,
স্বভাবটা যার উর্ধগতি।
দূর অজানায় তার ঠিকানা
মাটির মাঝে নাবতে মানা।
পদ্ম-পা তার খেয়াল বশে,
সিক্ত করে মাটির রসে।
সেই রসই তার জীবন বায়ু,
স্বর্গলোকের অমর আয়ূ।
ধরায় তবু দেয়না ধরা,
বঞ্চিত তাই বসুন্ধরা।
এক লগনে দিলেও ধরা,
দুঃখ এসে নাড়ে কড়া।
বলে, ছাড়ো রাজ্য আমার,
মর্ত্য শুধু কষ্ট খামার।
খেদ বা ক্ষুধার মাতৃভূমি,
জবর দখল করছো তুমি।
এক পলকে সুখ-পরিটা,
হাওয়ায় ভাসায় রথ-তরিটা।
হালকা ডানার রঙিন রথে,
যাত্রা যে তার অচিন পথে।
সুখ সজনির জোনাক ঝলক,
স্থির থাকেনা চোখের পলক।
ঘাসের ডগায় শিশির কণায়
স্নিগ্ধ ঘ্রাণের হাস্না হেনায়
সুখ-কুহূকির রথটা নামে
বিশ্রামে সে খানিক থামে।
বিজলি চমক এক নিমেষে
যেমন করে শূন্যে মেশে,
সুখও তেমন ক্ষণিক হেসে
হয় যে হওয়া নিরুদ্দেশে।