মশা নিধনে গিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেন মেয়র
সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে খালের উপরে অবৈধভাবে নির্মিত একটি ভবন উচ্ছেদ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে এই ভবনটি উচ্ছেদ করেন মেয়র।
সকাল সাড়ে নয়টায় উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে কল্যাণ সমিতির সামনে মশক নিধন কর্মীদের মনিটরিংয়ের জন্য বায়োমেট্রিক ট্র্যাকার উদ্বোধন করেন মেয়র। এরপর খিদির খাল এলাকা পরিদর্শনে বের হন তিনি।
উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর স্লুইচ গেইটের কাছে পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র দেখতে পান খিদির খালের সংযোগ মাটি দিয়ে ভরাট করে ‘সাফা টাওয়ার’ নামে প্রস্তাবিত একটি বহুতল মার্কেট সেলস অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ফলে খালে পানিরপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে কলাগাছ, কচুগাছ, আগাছা, জঙ্গলে পরিপূর্ণ। এটি মশার প্রজননস্থলে পরিণত হয়েছে। তাই আতিকুল ইসলাম ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন। বেলা ১টার মধ্যে ডিএনসিসির বুল্ডোজার দিয়ে এই অফিস এবং পার্শ্ববর্তী দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধভাবে নির্মিত কোনো স্থাপনা ভাঙতে কোনো ধরনের বৈধ নোটিশ দেয়া হবে না।’
অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদকালে মেয়র বলেন, ‘দখল করা এই স্থানটি পুরোটাই সিটি করপোরেশনের। এটি খালের উপরে। তারা কীভাবে এই জায়গাটি দখল করল। দুই পাশে খিদির খাল মাঝখানে এই জায়গা। এই যে খালের জায়গার উপরে তারা ভবনটি তৈরি করলো এতে কার লাভ হলো? অবৈধভাবে কোনোকিছুই দখল করে রাখা যাবে না।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরীফুর রহমান, মো. ফরিদ আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/কারই/জেবি)