কেশবপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, ১৪৪ ধারা জারি

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ মার্চ ২০২১, ২১:২৩

যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ী ইউনিয়নের সাগরদাড়ী গ্রামে এক ভাইয়ের ক্রয়কৃত জমির উপর অন্য ভাই বাড়ি নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে ভুক্তভোগী ছোট ভাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। নালিশি জমিতে হয়েছে ১৪৪ ধারা জারি।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাগরদাড়ী ইউনিয়নের সাগরদাড়ী গ্রামে মৃত মুফতি তোরাব আলীর ছেলে আব্দুল ওহাব ২০১৯ সালে ওয়ারেশ সূত্রে তার বোনের প্রাপ্য জমির অংশের আর এস ২৩৬ নং খতিয়ানের ২৯৭ দাগে ১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। কিন্তু আব্দুল ওহাবের বড় ভাই তার ক্রয়কৃত সম্পত্তির ওপর জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার শালিশ করলেও বিরোধপূর্ণ বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হয়।

এ বিষয়ে আব্দুল ওহাব বলেন, আমি দুই বছর আগে আমার বোনের কাছ থেকে আর এস ২৩৬ নং খতিয়ানের ২৯৭ দাগে ১ শতাংশ জমি ক্রয় করি। আমার ভাই মুফতি সোহরাব হোসেন ও মুফতি রফিকুল ইসলাম এবং ভাতিজা রুস্তম আলীর যোগসাজুসে গায়ের জোরে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর বাড়ি নির্মাণ করছে। আমি দফায় দফায় বাধা নিষেধ করার পরও তারা আমার কথায় তোয়াক্কা না করে বাড়ি নির্মাণ কাজ অব্যহত রাখে। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিশ করলেও তারা তা মানছে না। আমি আমার জমি ছেড়ে দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করতে বললে তারা আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। কোন উপায়ান্তুর না পেয়ে অবশেষে আমি আদালতে নালিশী জমির উপর ১৪৪ ধারায় মামলা করতে বাধ্য হই। তিনি আরো বলেন আমি বিদেশে থাকার সময় আমার ভাইদের অনেক টাকা পয়সা দিয়েছি। সেই টাকা আমি যখনই চাই, তখনই তারা আমার স্ত্রীসহ আমাকে মারপিট করতে আসে।

রুস্তম আলী বলেন, আমরা আব্দুল ওহাবের কোন জমি দখল করি নাই এবং তার জমিতে জোর করে ঘর নির্মাণের কোন প্রশ্নই আসে না। আমরা বাবার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমির অংশে ঘর নির্মাণ করছি। ওহাব অবৈধভাবে আমার ঘর নির্মাণের জমিতে ১৪৪ ধারায় মামলা করেছে।

ইউপি সদস্য আব্দুস সবুর বলেন, আব্দুল ওহাব তার বোনের কাছ থেকে জমি কিনেছে। সে জমি পাবে, আমি তার থেকে জমির অংশ মেপে খুটো মেরে দিয়েছি। কিন্তু তৃতীয় পক্ষ বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে দিচ্ছে না।

(ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :