বোয়ালমারীতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় আকমল শেখ(৬০) নামে এক কৃষক দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের কোপে নিহত হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ও সকালে নিহত পক্ষের লোকজন অপরপক্ষের কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার চতুল ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক পোয়াইল গ্রামের জামাল মাতুব্বর গ্রুপের সঙ্গে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির তিন নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি হাসমত মাতুব্বর গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
বুধবার দুই গ্রুপের লোকজনই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন শেষে রাতে খিচুরি ভোজের আয়োজন করে। আকমল শেখ অনুষ্ঠানের খিচুরি খেয়ে বাড়ি এসে স্ত্রীর কাছ ২০ টাকা নিয়ে দোকানে বিড়ি কেনার জন্য যায়। বিড়ি কিনে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় ও শরীরে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
আকমল শেখ ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসমত মাতুব্বর পক্ষের সমর্থক। নিহতের ঘটনায় হাসমত পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষ জামাল মাতুব্বর লোকজনের কয়েকটি বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
নিহত আকমল শেখের ছোট ভাই জাকির শেখের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা অনুষ্ঠান শেষে খিচুড়ি খাচ্ছিলাম। বাড়ির মহিলাদের শোর চিৎকারে এগিয়ে এসে দেখি আমার ভাই জখম অবস্থায় পড়ে আছে। কে এ ঘটনা ঘটিয়েছে দেখতে পারিনি। শত্রুতার কারণে হইতো আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বলেছেন আগেই তিনি মারা গেছেন।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে দ্বায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার মাহমুদুর রহমান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আকমল শেখ নামে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বোয়ালমারী থানার ওসি নুরুল আলম বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবেশ আপাতত শান্ত আছে।
তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ আইন গত ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/কেএম)