গ্রিসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২১, ১৪:২৭

জহিরুল ইসলাম, (গ্রিস) এথেন্স

বাংলাদেশ দূতাবাস, এথেন্স যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ পালন করেছে। এ উপলক্ষে দূতাবাস বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে।

এছাড়াও দূতাবাস চত্বর আলোকচিত্র, বর্ণাঢ্য ব্যানার, পোস্টার ও বেলুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়। গত ১৭ মার্চ সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলণের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্‌যাপন শুরু হয়। দিবসের কর্মসূচির দ্বিতীয় অংশ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরান থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়।

এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ আগস্ট তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত, বাংলাদেশের শান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া এবং মোনাজাত করা হয়।  এরপর রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্‌মদ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে দূতাবাস পরিবারের শিশু-কিশোরদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত এবং তার সহধর্মিনী বঙ্গবন্ধুর শুভ জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কেক কাটেন। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়।  এছাড়া, জাতির পিতার কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মহতী জীবন ও কর্মের উপর বিশেষ আলোচনাপর্বে রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্‌মদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত পদক্ষেপে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু কিশোরদের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করানো এবং জাতির পিতার আদর্শ তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার উপরও রাষ্ট্রদূত গুরুত্ব আরোপ করেন।’

তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গ্রিসে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের নিয়ে বৃহৎ পরিসরে দিবসটি আয়োজনের দূতাবাসের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থাকলেও কোভিড- ১৯ মহামারী নতুন করে ছড়িয়ে পড়ায় এবং গ্রিক সরকারের আরোপিত হার্ড লকডাউন ব্যবস্থার কারণে শেষপর্যন্ত দিবসের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে দূতাবাস পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে ঘরোয়াভাবে আয়োজন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/পিএল)