‘কল্যাণে অনিয়ম’ সমাজসেবা কর্মকর্তার

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ মার্চ ২০২১, ১৬:৪৯

হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির টাকার ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি, সরকারি বিশেষ দিবসে রোগীদের উন্নত খাবার পরিবেশনে অনীহা প্রকাশ করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি উঠেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।

আরও অভিযোগ রয়েছে, ভুয়া বিল ভাউচারে সাক্ষর না করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ওমর ফারুক বুলবুলকে গালিগালাজ ও হুমকি দিয়েছেন উপজেলার ওই সমাজসেবা কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে অতিসম্প্রতি ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি রোগী কল্যাণ সমিতির কিছু বকেয়া বিল সাক্ষরের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও রোগী কল্যাণ কমিটির সভাপতির কাছে পাঠান সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিম। কিন্তু সেই বিল দু’টি অসামঞ্জস্যপূর্ণ খরচের খাত ও সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এতে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির সকল কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করেন রেজাউল করিম। এর পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একজন নারী রোগীকে মুমূর্ষুবস্থায় চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। ওই রোগীর তাৎক্ষণিক রক্ত পরিসঞ্চালনের (ব্লাড ট্রান্সফিউশন) প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ওই রোগী দরিদ্র হওয়ায় ব্লাড ব্যাগটি রোগী কল্যাণ তহবিল থেকে কেনার জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হলেও সমাজসেবা কর্মকর্তা না জানার অজুহাত দেখিয়ে সেটি কিনে দেননি।

ব্লাড ব্যাগ কিনে না দেয়ার বিষয়টি রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক বুলবুল টেলিফোনে সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিমের কাছে জানতে চায়। এসময় রেজাউল করিম ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন। এরপর এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে ড. বুলবুল বলেন, ‘কোনো অনৈতিক ও ভুয়া বিল ভাউচারে সাক্ষর করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ঈদুল ফিতর/আযহাসহ বিভিন্ন সরকারী বিশেষ দিবসে রোগীদের উন্নত খাবার ও চিত্ত বিনোদনের প্রস্তাব করলেও তাতে তিনি তা পালনে অস্বীকার করেন। সর্বশেষ একজন দরিদ্র রোগীর জন্য রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে একটি ব্লাড ব্যাগ কিনে না দেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করতেই তিনি আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেন।’

তবে অভিযুক্ত রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে বসেছিলাম। এ ঘটনার সলিউশন হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাশেদুল কবির বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি এবং অভিযোগও পেয়েছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :