চার লাখ চিংড়ি রেণু উদ্ধারের পর পদ্মায় অবমুক্ত

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২১, ১৩:৩৫ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২১, ১৪:১১

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে কোস্টগার্ডের অভিযানে চার লাখ গলদা চিংড়ি রেণু উদ্ধারের পর পদ্মায় অবমুক্ত করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে উপজেলার শিমুলিয়া ফেরিঘাটে চট্টগ্রাম থেকে মোংলাগামী বেপারী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে এসব চিংড়ি রেণু উদ্ধার করা হয়।

শনিবার সকাল ১০টায় এসব চিংড়ি রেণু পদ্মায় অবমুক্ত করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত চিংড়ি রেণুর আনুমানিক মূল্য ১২ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।

এ ঘটনায় ওই বাসচালক ও হেলপারের কাছ থেকে এমন পণ্য আর পরিবহন করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কোস্টগার্ডের গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা রেদোয়ান জানান, গোপন সংবাদে মধ্যরাতে শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান চালায় কোস্টগার্ড পদ্মা সেতু কম্পোজিট স্টেশনের একটি অভিযান দল। এসময়  ওই যাত্রীবাহী বাস থেকে ১৬ গ্যালন ভর্তি গলদা চিংড়ি রেণু উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে সকাল ১০টায় কোস্টগার্ডের পদ্মাসেতু কম্পোজিট স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সানোয়ার, টুআইসি বুলবুল (পিও), মৎস্য অধিদপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এই রেণুগুলো পদ্মায় অবমুক্ত করা হয়। 

তিনি আরো বলেন, উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন নদী ও সংযোগ খাল থেকে অবৈধভাবে সরকারি নিষেধ অমান্য করে গলদা চিংড়ির রেণু শিকার করে অসাধু জেলেরা। বঙ্গোপসাগরের মীরসরাই-সীতাকুণ্ড উপকূল থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের শেষপ্রান্ত ফেনী ও মুহুরী নদীর মোহনা তথা মুহুরী প্রকল্প পর্যন্ত শত কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন নদী ও সংযোগ খাল থেকে অবৈধভাবে এই চিংড়ির রেণু নিধন চলছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন অবৈধ মাধ্যমে এ সকল রেণু পৌঁছে যাচ্ছে মোংলা, খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ীদের কাছে। উদ্ধারকৃত রেণুগুলোও একই পদ্ধতিতে ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছানো হচ্ছিল।

(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/পিএল)