তেজগাঁও জোনে পুলিশের করোনা সচেতনতা কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ মার্চ ২০২১, ১৩:৪৬ | প্রকাশিত : ২১ মার্চ ২০২১, ১৩:০৮

দেশে হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে দেশব্যাপী সচেতনতা কর্মসূচি শুরু করেছে পুলিশ। এর অংশ হিসেবে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মাস্ক বিতরণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।

‘মাস্ক পরার অভ্যাস, করোনামুক্ত বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশীদ।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবিলায় দেশব্যাপী পুলিশের উদ্যোগ অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ করোনা রোধে পুলিশের এই কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছিলেন।

ডিসি হারুন বলেন, দেশব্যাপী করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশের মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হয়েছে। আমরা মূলত জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাস্ক বিতরণ করছি। অনেকেই রাস্তায় চলাচল করছে মাস্ক ছাড়া, তাদেরকে মাস্ক বিতরণ করছি।

করোনার টিকা নিলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে মাস্ক পরতে হবে মন্তব্য করে ডিসি হারুন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে মাস্ক বিতরণ করছি। আপনারা অনেকেই টিকা নিয়েছেন। এরপরেও আমাদের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মানুষকে মাস্ক পরার অভ্যাস করতে হবে।

গত বছরের মতো এবারও কি মাস্ক পরতে আইন প্রয়োগ করা হবে কি না এমন প্রশ্নে তেজগাঁও জোনের ডিসি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা মনে করি তাদেরকে সঠিকভাবে সচেতন করতে পারলে এমনিতেই মাস্ক পরবে। আইন প্রয়োগের প্রয়োজন হবে না। আমরা থানায়ও মাস্ক বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। কারো মাস্ক দরকার হলে থানায় যাবেন। সেখান থেকে মাস্ক নিয়ে পরতে পারবেন। আমরা চাই অতীতের মতো এবারও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকুক।

এ সময় পথচারীরা পুলিশের এ কার্যক্রমকে স্বাগত জানান। অফিসগামী মো. বজলুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন ঢাকাটাইমসকে বলেন, সাধারণ মানুষের মাঝে এখন মাস্ক পরার অভ্যাসটা অনেকটা কমে গেছে। পুলিশ যদি এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখে তাহলে করোনা সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমবে।

‘ফার্মগেট এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করে পুলিশ। করোনা মোকাবেলায় পুলিশ জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে’- যোগ করেন ডিসি হারুন।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ সদস্যরা মরদেহ সৎকার করেছেন। খাবার বিতরণ করেছেন। এ পর্যন্ত পুলিশের ৮৭ জন সদস্য করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজারের অধিক সদস্য। দ্বিতীয় ধাপেও পুলিশ সদস্যরা মাস্ক পরতে ও হ্যান্ড-স্যানিটাইজার ব্যবহারে সচেতনতা তৈরি করছে।

(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/এআর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :