গোয়ালন্দে রনি হত্যায় দুজন গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীতে ট্রাকচালক রনি হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন সুজন সরদার(২২) ও জীবন শেখ(২২)। গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ রবিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি পোশাক কারখানা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাকচালক রনি পাঠানকে(২৪) গলা কেটে লাশ কাদা মাটিতে পুতে রাখা হয়। রনি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার আদর্শ গ্রামের আব্দুল মতিন পাঠানের ছেলে।

গ্রেপ্তার সুজন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড সাকের ফকির পাড়ার মজিবরের ছেলে এবং জীবন ময়ছের মাতুব্বর পাড়ার মজিবর শেখের ছেলে। রবিবার গভীর রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ফিরেই অভিযানে নামে পুলিশ। গোয়ালন্দের পদ্মার মোড় বেইলী ব্রিজের নিচ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকালে ট্রাক চালিয়ে বাড়ি ফেরেন রনি। সন্ধ্যায় ট্রাকমালিক লতিফ শেখের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সহকারী জাহিদকে সঙ্গে করে কুমড়াকান্দি গ্রামের হাবিবের চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সুজন ও জীবন মোটরসাইকেল নিয়ে এসে দাওয়াতের কথা বলে রনিকে নিয়ে যায়। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সবাই খোঁজ করতে থাকে রনিকে। সুজন ও জীবনের বাড়িতে খোঁজ নিলে জানতে পারেন তারাও বাড়ি নেই।

দুই দিন পর শনিবার বিকালে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বদিউজ্জামান বেপারী পাড়ার মজিবর রহমান মাস্টার পুকুর পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পান। কাছে দিয়ে দেখেন মাটি শুকিয়ে মানুষের মতো মরদেহ বেরিয়ে আছে। পরে ভালো করে দেখে নিখোঁজ রনির মরদেহ বলে নিশ্চিত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে কোপের দাগ রয়েছে বলে সুরতহাল রিপোর্টে এসেছে।

গ্রেপ্তার সুজন ও জীবন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে মাঝে-মধ্যে রনিসহ সুজন, জীবন ও জুয়েল চারজন মিলে ড্যান্ডি (আঠা) জাতীয় নেশা করতো। ওইদিন নেশা করার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে জুয়েল ধারালো চাকু দিয়ে কয়েকটি কোপ দেয়। নিস্তেজ হয়ে পড়লে সুজন ওই চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে। তিনজন মিলে কাদামাটি খুঁড়ে লাশ পুঁতে রেখে পালিয়ে যায়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, থানায় হত্যা মামলা করার ১২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/কেএম)