বাংলাদেশির লাশ দুদিন পর ফেরত দিলো বিএসএফ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় সীমান্তের জাদুকাটা নদীর ভারতের নলিকাটা থানার ঘোমাঘাট এলাকায় মৃত কয়লা শ্রমিক সাইদুর রহমানের(২৫) লাশ দুদিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

সাইদুর রহমান পেশায় শ্রমিক ও উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বড়গোফ টিলাগাও গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার সময় তাহিরপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১২০০/৩ এস এর শাহিদাবাদ এলাকায় বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি ও তাহিরপুর থানা পুলিশের কাছে তার লাশ হস্থান্তর করা হয়।

এ সময় বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন লাউড়েরগড় বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক ও তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজিবুল ইসলাম এবং ভারতীয় শিলং সেক্টরের ১১ বিএসএফের ক্যাপ্টেন অরবিন্দু সিং ও ভারতীয় পুলিশের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের নিহত সাইদুর গত সোমবার ভোরে বিজিবির চোখকে ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত নদী জাদুকাটার ভারতীয় অংশের অনেকের সঙ্গে ঘোমাঘাট এলাকায় কয়লা তুলতে যান। এ সময় টহলরত বিএসএফ তাড়া করলে যাদুকাটা নদী সাঁতরে সবাই বাংলাদেশে আসতে পারলেও সাইদুর পানিতে ডুবে যায়।

পরে ভারত সীমান্তের প্রায় এক কিলোমিটার ভিতরে নলিকাটা থানার ঘোমাঘাট এলাকায় জাদুকাটা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকে। পরে স্থানীয়রা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে জাদুকাটা নদীর বালিচড়ে পরে থাকা মৃত কয়লা শ্রমিক বড়গোফ টিলাগাও গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান।

গত মঙ্গলবার ভারতীয় পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশ বিজিবি ও পুলিশের কাছে তার লাশ হস্থান্তর করলে বিজিবি ও পুলিশ রাত ৯টায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রাজিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/কেএম)