ধর্ষণের ভিডিও ভাইরালে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার পর রংপুরের বদরগঞ্জে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২৩ মার্চ মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে রংপুর খুলনা বিভাগের ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

নাজমুল আলম বলেন, বদরগঞ্জে নবম শ্রেণির ছাত্রী গত ৫ জানুয়ারি বিষপানে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনার কয়েকদিন পর বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে আমরা জানতে পারি, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। এরপর সিআইডি ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে।

দুই স্ত্রী পরিত্যক্ত হাফিজুর কোতোয়ালীর একটি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ইউনুস আলীর ছেলে।

নাজমুল আলম বলেন, হাফিজুর মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে এবং তার সহযোগী বিপুল চন্দ্রকে দিয়ে মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে হাফিজুর রহমান।

ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার পর স্কুলছাত্রী বিষপান করে। মেয়েটিকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়ার পর সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে নিতে বলেন এবং রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি মারা যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ভিডিওটি ওই এলাকায় ভাইরাল হলে স্কুলছাত্রীর পরিবার বাড়ি থেকে চলে যায়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা করে। সিআইডি ছায়া তদন্ত করে প্রধান আসামি হাফিজুরকে গ্রেপ্তার করার পর মামলাটিরও তদন্তভার নিয়েছে।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেছিল বিপুল চন্দ্র। হাফিজুর তাকে দিয়ে এই ভিডিও গোপন করিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে ঘটনার আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

পুলিশ জানায়, ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের বিস্তারিত স্বীকার করেছেন হাফিজুর রহমান। তাকে আজকেই খুলনার সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/এএ/জেবি)