ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাব-আ.লীগ অফিসে ভাঙচুর-আগুন

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২১, ১৭:১৬ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২১, ১৮:৫৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হেফাজতে ইসলামের ডাকা দেশব্যাপী রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় প্রেসক্লাব ও আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়।

হামলায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাণ্ডবের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

রবিবার বেলা ১১টা থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয়াসহ সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে সকাল থেকে সড়কে অবস্থান নেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হামলা ও আগুন দেয়া শুরু করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

সকালেই বিক্ষোভ মিছিল থেকে শহরের পীরবাড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় হরতাল-সমর্থকদের। শহরের পৈরতলায় পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়৷

একপর্যায়ে হামলাকারীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের বাড়ি, সভাপতি রবিউল ইসলাম রুবেলের বাড়ি, জেলা পরিষদ ভবন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় এবং ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্বরের বিভিন্ন লাইব্রেরিতে আগুন দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভাঙচুর, কালীবাড়ি মন্দিরের প্রতিমা, ব্যাংক এশিয়ার ফটকে ভাঙচুর, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন ভাঙচুর করেছেন হামলাকারীরা।

হরতাল সমর্থকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে ভাঙচুর চালান হরতাল-সমর্থকরা। এর পর রেললাইনের নাট-বল্টু খুলে নেয়ার পাশাপাশি লাইনের ওপর কংক্রিটের স্ল্যাবও ফেলে রেখেছেন হরতালকারীরা।

আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাঝখানে ১৮ নম্বর রেল সেতুতেও আগুন দেয়া হয়। দুপুরের দিকে আশুগঞ্জ রেলস্টেশনে হরতালকারীরা জড়ো হয়। এই গোলযোগের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা মসজিদ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন এবং কোথাও হামলা না করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু বেলা ১১টার পর জেলা পরিষদ ভবনে আগুন দেয়া হয়। নিচতলার অনেক কক্ষে আগুন দেয়ার পর এসির বিস্ফোরণ হয়। সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, পৌরসভায় ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়। আগুন দেয়া হয় সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে। হামলা হয়েছে সদর থানায়, প্রেসক্লাবে।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/কেএম)