মুন্সীগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষ: ৬১৫ জনকে আসামি করে মামলা
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পুলিশ-হেফাজত ও আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলায় এজহারনামীয় ১৫ জনসহ অজ্ঞাত ৬০০ জন মোট ৬১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সিরাজদিখান থানার উপ-পরিদর্শক রিমন হোসাইন বাদী হয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে এ মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিরাজদিখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান জানান, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনি জনতাবদ্ধে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পুলিশের সরকারি কর্তব্য পালনে বাধা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে সাধারণ জখম ও গুরুতর জখম, মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অপরাধে মামলাটি হয়েছে।
কামরুজ্জামান আরো জানান, ঘটনার পর আট জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলায় মধুপুর পীর আব্দুল হামিদের পুত্র আব্দুল্লাহ ও ওবায়দুল্লাহ কাশেমীকেকে যথাক্রমে ৯ ও ১০নং আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত ২৮মার্চ সিরাজদিখান উপজেলার শিকারপুর এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্থানীয় হেফাজাত কর্মীরা সকাল থেকে হরতাল পালন করেন। দুপুর ১২টার দিকে হেফাজতকর্মীরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
একই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও হেফাজত কর্মীদের বাধা দিলে পুলিশ হেফাজত কর্মী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়। এ সময় হেফাজতের নায়েবে আমীর মধুপুর পীর আব্দুল হামিদ, সিরাজদিখান থানার ওসি এসএম জালাল উদ্দিন ও ১০ পুলিশসহ ৩০ জন আহত হন।
পরে একইদিন উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৭টি বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন হেফাজত কর্মীরা।
(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/এলএ)